নিজস্ব সংবাদদাতা :
গোপালপুরে এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরনের পর আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে আপলোড করে বাবামাকে এখন প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ শনিবার গোপালপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। গোপালপুর পৌর শহরের প্রধান সড়কের বাসিন্দা ব্যবসায়ী রাহেদুজ্জামান মুক্তা লিখিত অভিযোগে জানান, তার দ্বিতীয় কণ্যা সূতি ভি এম পাইলট মডেল হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর মেধাবি ছাত্রী নূরে জাহান মিমকে সুন্দর গ্রামের ফজলুল হকের বখাটে পুত্র শুভ মনি অপর তিন জনের সহযোগিতায় গত ১৮ এপ্রিল বাসা থেকে অপহরন করে নিয়ে যায়। গত ২৫ এপ্রিল শুভমনিসহ চারজনকে আসামী করে গোপালপুর থানায় অপহরন মামলা দায়ের হয়। আসামীদের কেউ কেউ প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও পুলিশ গ্রেফতার করছেন না। আসামীরা প্রতিনিয়ত তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তদন্তকারি দারোগা আব্দুল হাই আসামীদের গ্রেফতার অথবা ভিক্টিমকে উদ্ধার না করে বাদিকে মামলায় আপোষ হওয়ার চাপ দিচ্ছেন।
এদিকে আসামী শুভমনি সম্প্রতি তার ফেসবুকে অপহৃত নূরে জাহান মিমের সাথে আপত্তিকর যৌথ ছবি এবং বিয়ের ভূয়া কাবিননামার কপি আপলোড করে বাবা রাহেদজ্জামানের দোয়া চেয়ে পোস্ট দিয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন, আসামী শুভ মনির ফেসবুকে আপলোড করা ছবি ও কাবিননামা দেখে বখাটের দল প্রতিনিয়ত তাতে অশ্লীল কমেন্ট দিচ্ছে। এমনকি এসব পোস্ট দেয়া কমেন্ট বাদির বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্খিদের ফেসবুকে বিশেষ কায়দায় পাঠিয়ে শেয়ার করার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে। এতে তিনি বিব্রতকর ও লজ্জাজনক অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। থানা পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় তিনি গত বুধবার গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে প্রতিকার প্রার্থনা করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসূমুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, একটি নাবালক মেয়েকে অপহরনের পর বখাটেরা ফেসবুকে ছবি আপলোড করে পোস্ট দিয়ে প্রচলিত আইসিটি ধারায় অপরাধ করেছে। অভিযোগ পেয়ে তিনি তদন্তকারি দারোগাকে অফিসে ডেকে নিয়ে আসামীদের গ্রেফতার এবং ভিক্টিমকে উদ্ধার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তদন্তকারি দারোগা আব্দুল হাই জানান, তিনি মামলায় আপোষ হওয়ার ব্যাপারে বাদিকে চাপ দেননি। আসামী গ্রেফতারের জন্য হাজার হাজার বার অভিযান চালিয়েছেন। এত অভিযানের পরও কেন আসামী গ্রেফতার হলোনা বা ভিক্টিম উদ্ধার হলোনা প্রশ্নে জানান আসামী পালিয়ে থাকলে কিভাবে ধরবো?