উত্তর টাঙ্গাইলে পল্লী বিদ্যুতের পৌনে দুই লক্ষ গ্রাহকের সীমাহীন ভোগান্তি
নিজস্ব সংবাদদাতা :
ওপাড়ে ভূঁইয়াপুর উপজেলার ফলদা। আর এপাড়ে গোপালপুর উপজেলার দৌলতপুর। মাঝ বরাবর ঝিনাই নদী। সন্ধ্যা হলে ওপাড়ের ফলদা বাজার ও আশপাশের গ্রাম বিদ্যুতের আলোয় ঝলমল করে। লোকজন চায়ের দোকান ও বাসাবাড়িতে টেলিভিশন দেখে সময় কাটায়। ছেলেমেয়েরা বিদ্যুতের আলোয় লেখাপড়া করে। স্কীম মালিকরা বৈদ্যুতিক মোটরে বোরো জমিতে পানি সেচ দেয়। তখন এপাড়ে দৌলতপুরসহ আশপাশের ৮/১০টি হাটবাজার ও গ্রামে থাকে গভীর অন্ধকার। সন্ধ্যা নামতেই দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। ছেলেমেয়েরা মোমবাতির আলোয় লেখাপড়া রেখে বিছানায় গা এলিয়ে দেয়। সেচের কাজ বন্ধ থাকে। ওপাড়ে বিদ্যুত সরবরাহ করে ভূঁইয়াপুর পিডিবি। আর এপাড়ে গোপালপুর পল্লী বিদ্যুত। উত্তর টাঙ্গাইলের পাঁচ উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের পৌনে দুই লক্ষ গ্রাহকের ২০ ঘন্টাই বিদ্যুৎবিহীন কাটাতে হয়। ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ টাঙ্গাইলের মধুপুর, ধনবাড়ি, গোপালপুর, ঘাটাইল ও ভূয়াপুর উপজেলায় (ঘাটাইল ও ভূয়াপুর পৌরসভা বাদে) বিদ্যুৎ বিতরণ করে। জামালপুর গ্রিড থেকে ৩৩ কেভি লাইনের মাধ্যমে মধুপুর উপজেলার টেংরি, ধনবাড়ি উপজেলার হাজরাবাড়ি এবং গোপালপুর উপজেলার আলমনগর সাবস্টেশনে এবং টাঙ্গাইল গ্রিড থেকে ঘাটাইল উপজেলার শাহপুর সাবস্টেশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের চাহিদা ৩০ মেঘাওয়াট। সরবরাহ ৮/১০ মেঘাওয়াট। এজন্য এক প্রান্তের ফিডার বন্ধ করে অন্য প্রান্তের ফিডার চালু করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় গ্রাহকরা ২৪ ঘন্টায় ৬/৭ ঘন্টা বিদ্যুৎ পায়। লাইন রেনুভেশন না করায় এবং গাছপালা ও বাঁশঝাঁড় পরিস্কার না করায় তার ছিড়ে প্রায়ই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। গত এপ্রিল থেকে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ১১ মাসে ১১ দফা তার ছিড়ে ২০/২৫ দিন ১৮ থেকে ২০ ঘন্টার ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। মধুপুর, গোপালপুর ও ধনবাড়ি উপজেলা শিল্প ও বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, বিদ্যুতের দাম কয়েক দফা বাড়ানো হলেও গ্রাহকরা চাহিদার এক তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছেনা। তারা ঘাটাইল পিডিবি পর্যন্ত ন্যাশনাল গ্রিড লাইন সম্প্রসারণের দাবি জানান। পল্লী বিদ্যুতের মধুপুর, ধনবাড়ি এবং গোপালপুর জোনাল অফিসের কর্মকর্তারা জানান, ইরিগেশন চলায় বিদ্যুত সরবরাহে সাময়িক সমস্যা চলছ্।ে দুইএক মাস পর পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।