আজ || রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
শিরোনাম :
  গোপালপুরে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা       ধনবাড়ি মডেল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদ ও দোয়া       গোপালপুরে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট       টাঙ্গাইল-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী শাকিল উজ্জামান       গোপালপুরে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ       গোপালপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন সালাম পিন্টু       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ       গোপালপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল       গোপালপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১২ মামলার আসামি চাকমা জাহাঙ্গীর নিহত    
 


গোপালপুরে নাড়া পোড়ানো উৎসব; পটাশ ঘাটতি পূরন এবং প্রাকৃতিক উপায়ে পোকা ও বালাই দমনে অভিনব কর্মসূচি

Photo, Gopalpur-Tangail 21.12.2014

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ধানী জমির পটাশ ঘাটতি পূরন, প্রাকৃতিক উপায়ে ক্ষতিকর পোকা দমন ও বালাইনাশের জন্য গোপালপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ নাড়া পোড়ানো উৎসব চালু করেছে। বিনামূল্যের এ কর্মসূচি কৃষক পর্যায়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কৃষি সম্পসারণ বিভাগ জানায়, প্রতি বছর অগ্রহায়ন মাসে রোপা আমন কাটার পর ক্ষেতে নাড়া থেকে যায়। এ নাড়ায় বাসা বাঁধে বাদামী গাছ ফড়িং, চুংগি ও পাতামোড়ানো পোকা। এসব অপকারি পোকা ধানের নাড়ায় বংশ বিস্তার করে। ডিম ও লার্ভায় ভরে দেয়। কৃষকরা এক দেড় মাস পর হালচাষ করে জমিতে বোরো আবাদ করে। কিন্তু এতে ডিম ও লার্ভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়না। মরেও না। জমিতে বোরো চারা লাগানোর পর পাতা সবুজ হয়ে উঠলে পোকা হৃষ্টপিষ্ট হয়ে ধান গাছে আশ্রয় নেয় এবং ফসলের ক্ষতি করে। এ পোকা দমনে কৃষকদের প্রতিবছর কীটনাশক প্রয়োগে বাড়তি খরচ করতে হয়। বিষ প্রয়োগে পরিবেশ ও বিনষ্ট হয়। এমতাবস্থায় আগাম পোকা দমনের জন্য কৃষি বিভাগ রোপা আমন কাটার পর জমির নাড়া আগুনে পুড়িয়ে ডিম ও লার্ভা ধংসের ব্যবস্থা করছে। প্রতিদিনই কৃষিকর্মীরা কৃষকদের সাথে মাঠে দলঁেবধে নেমে নাড়া পোড়াচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার ফরিদুল হাসান জানান, কৃষকদের এ কাজে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। এতে অপকারি পোকা যেমন নির্বংশ হচ্ছে তেমনি পোড়ানো নাড়ার ছাঁই জমিতে পটাশ সারের কাজ করছে। পটাশের অভাবে ধান গাছের মূল দুর্বল হয়ে পড়ে। গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। কান্ড দুর্বল হওয়ায় গাছ খাদ্য গ্রহন করতে পারেনা। ফলে ধানের ফলণ কমে যায়। রাসায়নিক পটাশ ব্যবহার না করে নাড়া পুড়িয়ে পটাশের অভাব পূরণ অর্গানিক চাষাবাদকে উৎসাহিত করা বলে মনে করেন তিনি।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!