কে এম মিঠু, গোপালপুর :
সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রথম দেশে অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা চালু করেন। বহু প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর তার নাম মুঁছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। ইতিহাসের এমন নিন্দনীয় ঘটনার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে এজন্য বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গের নামে স্কুলবিহীন গ্রামে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন মুজিব প্রেমিক গোপালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট্রের সভায় এ পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে অনুমোদন দেয়া হয়। ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে এ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।
এ পাঁচটি বিদ্যালয় হলো গোপালপুর উপজেলার সোনামুই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরমোহাইল বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা প্রাথমিক বিদ্যালয়, লক্ষিপুর দেশরতœ শেখ হাসিনা প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাতুটিয়া শেখ রেহানা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আজগড়া গ্রামে শেখ রাসেল প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব গ্রামে কোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিলোনা। এলাকার বিত্তহীন, দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া পরিবারের শিশুরা দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছিলো। এমতাবস্থায় উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার নিজ উদ্যোগে এবং বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তির অনুদানে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে এ পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। স্কুলের জমি কেনা, আসবাব পত্র ক্রয় এবং শিক্ষা সরঞ্জামের ব্যবস্থাও করেন তিনি। পরবর্তীতে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রনালয় সেখানে সুদৃশ্য ভবন নির্মাণ করে দেয়। বর্তমানে পাঁচ বিদ্যালয়ে ঝরেপড়াসহ প্রায় দুই হাজার দরিদ্র শিশু এখন অবৈতনিক শিক্ষা গ্রহণ করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার জানান, বঙ্গবন্ধু পরিবারকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য শিক্ষা বঞ্চিত এলাকায় এসব স্কুল করা হয়েছে। দেশ ও জাতির প্রতি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের যে অপরিসীম অবদান সেটি চিন্তা করেই স্কুলের নামকরণ করা হয়েছে।