আজ || শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
শিরোনাম :
  গোপালপুরে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা       ধনবাড়ি মডেল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদ ও দোয়া       গোপালপুরে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট       টাঙ্গাইল-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী শাকিল উজ্জামান       গোপালপুরে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ       গোপালপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন সালাম পিন্টু       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ       গোপালপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল       গোপালপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১২ মামলার আসামি চাকমা জাহাঙ্গীর নিহত    
 


টাঙ্গাইলের সালমা খাতুন দেশের প্রথম নারী ট্রেন চালক

গোপালপুর বার্তা ডেক্স : সালমা খাতুন বাংলাদেশের প্রথম নারী ট্রেন চালক। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে সহকারী চালক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তিনি দেশের প্রথম নারী হিসেবে ট্রেন চালনা পেশায় আসেন।

কৃষক বাবা বেলায়েত হোসেন ও গৃহিনী মা তাহেরা খাতুনের ৫ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ সালমা খাতুনের জন্ম টাঙ্গাইলে ১৯৮৩ সালের ১লা জুন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত সালমা খাতুনের স্বামী জজকোর্টে কাজ করেন।

নতুনের প্রতি সবারই আগ্রহ থাকে। ইচ্ছে থাকে অন্যদের চাইতে একদম আলাদা আর অন্যরকম কিছু করে দেখানোর। ছালমা খাতুনের শৈশবটাও কেটেছে এমন অন্যরকম কিছু করার ভাবনায়। কিন্তু তাই বলে বাংলাদেশের প্রথম নারী ট্রেন চালক? না চাইতেই এমন অন্যরকম খেতাব পেয়ে যাওয়া ছালমা খাতুন এর সঙ্গে আলাপ কালে তিনি তুলে ধরেন তার শৈশবের নানান কথা।

বাংলাদেশে প্রথম নারী ট্রেন চালক হিসেবে সালমা খাতুন বলেন, অনুভূতিটা অসাধারণ। কাজ করেছি, স্বীকৃতি পেয়েছি। ভালো লেগেছে। ইচ্ছে ছিল ব্যতিক্রম কিছু করার। তবে ট্রেন চালাবো সেই ইচ্ছে ছিল না। আর সব চাকরির মতো করেই। রেলে জব সার্কুলার দিল। তারপর সেটা দেখে আবেদন করলাম। লিখিত আর ভাইভাতে উত্তীর্ণ হলাম। এরপরে চাকরিটা পেয়ে গেলাম।

তিনি বলেন, ট্রেনিং করতে গেলে সবাই দেখতে আসতো আমাকে। দেখত যে দেশের প্রথম নারী যে ট্রেন চালাচ্ছে। ভালো লাগতো তখন। আমার পরিবার আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। প্রথমে আমার ভাইয়েরা আমাকে সাহায্য করেছে। এখন আমার স্বামীও সাহায্য করে।

পেশাগত জীবন নিয়ে সালমা বলেন, পেশাগত জীবনে ট্রেন নিয়ে মজার কোনো অভিজ্ঞতা আছে। টুকরো টুকরো ব্যাপারগুলোতে সবসময়েই মজা পাই। এই যেমন অনেকে দৌড়ে আসে। সেলফি তুলতে চায়। মজা লাগে।

পড়াশোনা ও পেশা নিয়ে সালমা খাতুন বলেন, যখন এই পেশায় প্রবেশ করি তখন মাত্র ইন্টারমিডিয়েট পড়েছি। পরে অবশ্য আবার পড়াশোনা করেছি। তাই এই বিষয়টা খুব ভালো লাগে। আমার এক আত্মীয় বলছিল যে, আমার নাম তার বন্ধু বইয়ে পড়েছে। শুনে খুব ভালো লেগেছে। খুব কষ্ট হয়েছে পড়াশোনাটা শেষ করতে। এই পেশায় যারা আসতে চান তাদেরকে বলব, মনোবল নিয়ে তারপর আসুন। আর নারীরা এখানে আসুক। পুরুষ আর নারীর সমতাটা এই পেশাতেও হোক- সেটাই চাই।

কবি নজরুল সরকারি কলেজ থেকে ২০১৫ সালে মাস্টার্স করেছেন সালমা। এর আগে বিএসএস ডিগ্রি ও বিএড কোর্স সম্পন্ন করেছেন। প্রচলিত পেশার বাইরে সালমা খাতুন নিজের ইচ্ছাতেই ট্রেন চালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০০৪ সালে তার কর্মজীবনের সূচনা হয় সহকারী লোকোমাস্টার হিসেবে। বাংলাদেশে রেলওয়েতে এখন আরও অন্তত ১৫ জন নারী ট্রেন চালক থাকলেও এর সূচনা হয়েছিলো সালমা খাতুনের মাধ্যমেই।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!