আজ || শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম :
  শতাব্দি পেরনো স্বর্ণজয়ী মানুষ ‘প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন’       অবশেষে গোপালপুরে বিরল রোগে আক্রান্ত পরিবার সুচিকিৎসা পাচ্ছেন       গোপালপুর-ভূঞাপুর যমুনা চরাঞ্চল এখন মাদক আর দুস্কৃতকারিদের অভয়ারণ্য       গোপালপুরে কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করতে কৃষক সমাবেশ       খোরশেদুজ্জামান মন্টুকে এলাকাবাসি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চান       গোপালপুর উপজেলা পরিষদ স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা       গোপালপুরে কুরতুবী মাদ্রাসার উদ্ধোধন       সালাম পিন্টুর মুক্তির আনন্দে গোপালপুরে মোটরসাইকেল র‍্যালি       গোপালপুরে জাসাস এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত       গোপালপুরে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সম্মেলন    
 


গোপালপুরে সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ইউনুস ইসলাম তালুকদারের পথসভা

কে এম মিঠু, গোপালপুর :

আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে পথসভা করেছেন বিপুল ভোটে নির্বাচিত টানা দুইবারের গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার (ঠান্ডু)।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় সংলগ্ন থানা ব্রীজ চত্বরে অনুষ্ঠিত এ বিশাল পথসভায় বক্তব্য রাখেন (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ইউনুস ইসলাম তালুকদার।

পথসভায় একক বক্তা হিসেবে ইউনুস ইসলাম তালুকদার বলেন, প্রিয় গোপালপুরবাসী আমি আপনাদের সুখদুঃখের ভাগীদার হয়ে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে বিপুল ভোটের মাধ্যমে প্রথমে ২০০৯ এবং পরে ২০১৪ সালে আমাকে আপনারা গোপালপুর উপজেলা পরিষদ পরিচালনার দ্বায়িত্ব দিয়েছেন। সেই থেকে আপনাদের কাতারে চলে এসে আমি এখন মিলেমিশে একাকার। বণ্যায়, নদীভাঙ্গনে, অভাব-দারিদ্রতায়, দলীয় দুর্যোগ, বিরোধী দলের জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনে বাধা, সকল নির্বাচনোত্তর তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত দলীয় নেতাকর্মীদের পুনবার্সণে নিমগ্ন থেকেছি সর্বক্ষন। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে তৃণমূলে শক্তিশালী করার লক্ষ্য স্থানীয় মাননীয় সাংসদ খন্দকার আসাদুজ্জামানকে সাহেবকে সন্মান দেখিয়ে পাশে থেকে উন্নয়নমূলক কাজ করার পাশাপাশি মাননীয় সাংসদের বয়সজনিত দুর্বলতা ঢাকতে নেতাকর্মীদের জন্য অবিরাম ত্যাগ স্বীকার করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপির আব্দুস সালাম পিন্টু নির্বাচিত হলে গোপালপুরে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হন। বহু বাড়িঘর, দোকানপাট হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের শিকার হয়। শত শত নেতাকর্মী এলাকাছাড়া হন। এ দুর্দিনে আওয়ামীলীগের বড় নেতারা অসহায়কর্মীদের পাশ কাটিয়ে গেলেও, নির্যাতনে শিকার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীর পাশে দাড়িয়ে আমি সহযোগিতা করাসহ সাহস জুগিয়েছি। গ্রেনেড হামলায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা অপচেষ্টার পর আব্দুস সালাম পিন্টুর নির্বাচনী এলাকায় দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা অনেক কঠিন হলেও, স্থানীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধা আর আস্থায় সিক্ত হয়ে, গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘুরে বেড়িয়ে আপনাদের ভালোবাসা অর্জন করেছি বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে রয়েছি। মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে নানা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি। বহুবার বিদেশ ভ্রমণে পর্যবেক্ষণ করেছি- গ্রাম হচ্ছে উন্নয়নের ফোকাস পয়েন্ট। তাই উন্নয়ন কোথায় হলে সার্বজনীন ফলাফল পাওয়া যাবে অথবা উন্নয়ন কেন কিভাবে আটকে যায় বা কিভাবে সঠিক উন্নয়নের ছোঁয়া স্পর্শ করা দরকার সে সম্পর্কে আমার বেশ ধারনা সঞ্চয় হয়েছে। শহর নয়-উন্নয়ন হবে গ্রাম থেকে। কারণ গ্রামেই বাস করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ। আর তারাই সবচেয়ে বেশি অবহেলিত।’’

আপনারা জানেন, গোপালপুর ও ভূঞাপুর উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলের অনাবাদী ও পতিত জমিতে শিল্পকারখানা স্থাপনের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। এতে প্রায় ২০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা রাখছি। ২৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনা ড্রেজিং এবং প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ হতে যাচ্ছে। এতে গোপালপুর ও ভূঞাপুরের নদী ভাঙ্গা মানুষ উপকৃত হবে। বহু জমি আবাদের আওতায় আসবে। বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের জন্য নিজের ১২ লক্ষ টাকায় জমি কিনে উপজেলার বলাটা গ্রামে সাবস্টেশন নির্মাণ, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নামে বিদ্যালয়বিহীন পাঁচ গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপন, উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়সহ হেমনগর ইউনিয়ন, ঝাওয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয় নির্মাণ, গোপালপুর কলেজ ও সূতী ভি এম হাইস্কুলকে সরকারিকরণে আমি দিন রাত কাজ করেছি।

আগামী দিনে গোপালপুর ও ভূঞাপুর উপজেলায় একজন ত্যাগী এবং সাহসী মানুষকে নেতা হয়ে দলকে এগিয়ে নিতে হবে। আমি দলের জন্য একজন নিবেদিতকর্মী হিসাবে আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় কাজ করে যাচ্ছি। আপনাদের সমর্থন ও সহযোগিতা পেলে গোপালপুর ও ভূঞাপুর উপজেলাকে সন্ত্রাস, মাদক, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করে গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।

পথসভায় গোপালপুর ও ভূঞাপুর উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন শাখার আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ দলের অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেয়।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!