টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের উত্তর পাকুটিয়া গ্রামে পুত্রবধূর পরকীয়া দেখে হার্টফেল করে মারা গেছেন শ্বশুর মোফাজ্জল হোসেন। আর প্রেমিককে গনধোলাই দিতে দেখে বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই পুত্রবধূ।
বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। থানা পুলিশ এবং পড়শিরা জানান, মোফাজ্জল হোসেনের পুত্র গামেন্টর্স কর্মী লেবু মিয়া তিন বছর আগে সরিষাবাড়ি উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের বাশুরিয়া গ্রামের হানিফ মিয়ার কণ্যা চায়না বেগমকে বিয়ে করে। তামিম নামে দুই বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে এ দম্পতির। চায়না বেগম সরিষাবাড়ির পিংনা সুজাত আলী কলেজে লেখাপড়ার সময় ফুলদার পাড়া গ্রামের আবু হানিফের পুত্র হান্নান মিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ঘটে উঠে। অভিভাবকরা বিষয়টি টের পেয়ে চায়নাকে তড়িগড়ি করে লেবু মিয়ার সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের পরও এদের সম্পর্ক অব্যাহত থাকে।
আজ সোমবার সকালে শ্বশুর মোফাজ্জল হোসেন চায়নার থাকার ঘরে প্রেমিক হান্নানকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে। ডাকচিৎকারে পাড়াপড়শিরা এগিয়ে এসে হান্নানকে আটক করে গনধোলাই দেয়। ঘটনার আকস্মিতায় মোফাজ্জল হোসেন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। গোপালপুরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। অপরদিকে প্রেমিক হান্নানকে গণধোলাই দিতে দেখে প্রেমিকা চায়না বেগম বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। তাকে প্রথমে গোপালপুর হাসপাতালে এবং পরে গুরুতর অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
গ্রামবাসিরা মুচলেকা আদায় করে বাবামার হেফাজতে প্রেমিক হান্নানকে ছেড়ে দেয়। গোপালপুর থানার ওসি জানান, কেউ মামলা করতে আসেনি। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।