আজ || সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
শিরোনাম :
  গোপালপুরে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা       ধনবাড়ি মডেল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদ ও দোয়া       গোপালপুরে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট       টাঙ্গাইল-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী শাকিল উজ্জামান       গোপালপুরে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ       গোপালপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন সালাম পিন্টু       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ       গোপালপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল       গোপালপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১২ মামলার আসামি চাকমা জাহাঙ্গীর নিহত    
 


গোপালপুরে বিশ্ব মা দিবস পালিত

Photo-Gopalpur-Tangail 10.05.2015 (2)

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো টাঙ্গাইলের গোপালপুরেও বিশ্ব মা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে সকাল ১১টায় এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আমিনা বেগম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফরিদুল হাসান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শামছুল হুদা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা মুক্তি রানী সাহা, উপজেলা সহ:পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রুগ জিন্নাত রিয়া, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলগের সভাপতি হোসনে আরা বেগম,পৌর কাউন্সিলর মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা এনামুল হক, বিকশিত নারী নেত্রী নেটওয়ার্ক টাঙ্গাইল জেলা শাখার সম্পাদক আনজু আনোয়ারা ময়না প্রমুখ।

মা দিবসের আদি উৎপত্তি প্রাচীন গ্রিসে। প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায় ধর্মীয় উৎসব হিসেবে প্রতি বসন্তে ‘মাদার অব গড’ রিয়ার উদ্দেশে বিশেষ একটি দিন উদযাপন করা হতো। তবে ধর্মীয় উৎসব থেকে বেরিয়ে এসে মা দিবস সামাজিক উৎসবে পরিণত হয় ১৬শ শতাব্দীতে।

সে সময় যুক্তরাষ্ট্রে মায়েদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দমাদারিং সানডেদ নামে একটি বিশেষ দিন উদযাপন করা হতো। প্রথম দিকে দিবসটি শুধু শহুরে বিত্তবানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।

কিন্তু পরে সাধারণ মানুষ বিশেষত কাজের সন্ধানে শহরে ছুটে আসা মানুষের কাছেও পরিচিত হয়ে ওঠে দিবসটি। ফলে এ বিশেষ দিবসের আবেদন ছড়িয়ে পড়ে শহর ছেড়ে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে।

পরবর্তী সময়ে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে মা দিবসকে আরও সার্বজনীন করে তোলেন আমেরিকার নাগরিক জুলিয়া ওয়ার্ড। দিবসটিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার লক্ষ্যে ১৮৭২ সাল থেকে তিনি ব্যাপক লেখালেখি শুরু করেন। তবে দিবসটিকে জাতীয় উৎসবে পরিণত করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন ফিলাডেলফিয়ার অপর নারী অ্যানা জার্ভিস।

১৯০৭ সালে মা দিবসকে স্বীকৃতি দিতে ব্যাপক প্রচারণা চালান তিনি। সে বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার ছিল অ্যানার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী। অ্যানা সেই দিবসটিতেই দমা দিবসদ পালন করেন। পরের বছর পুরো ফিলাডেলফিয়া অঙ্গরাজ্যেই বিশাল আয়োজনে পালিত হয় ‘মা দিবস’। অ্যানা ও তার সমর্থকরা দজাতীয় মা দিবসদ ঘোষণা করার জন্য দেশের মন্ত্রী, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের চিঠি লিখতে শুরু করেন।

অবশেষে ১৯১১ সালে অ্যানা জার্ভিস সফলতা লাভ করেন। সে বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার আমেরিকাজুড়ে একই সঙ্গে পালিত হয় দমা দিবসদ। পরে ১৯১৪ সালে প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন দিবসটির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেন। এরপর থেকেই বিশ্বের দেশে দেশে মা দিবস পালনের রেওয়াজ ছড়িয়ে পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করে গত প্রায় দেড় যুগ ধরে বাংলাদেশেও প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার নানা আয়োজনে মা দিবস পালন করা হয়।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!