৫০০ টাকার বাড়ি ভাড়া ও ৩০০ টাকার চিকিৎসা ভাতা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করে সরকারের প্রহসন মূলক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সাতক্ষীরায় বে-সরকারি স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষকরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্ট
কেন্দ্রীয় কমিটির পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে এসব কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচি পালন উপলক্ষে বেলা ১২টায় শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এসে জড়ো হন শত শত শিক্ষক-কর্মচারী। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন জজ কোর্ট চত্বরে গিয়ে মিলিত হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতি, প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম, খান আশরাফ আলী, সামসুল আলম, নূর মোহাম্মাদ পাড়, আমিনুর রহমান, কামরুজ্জামান, নজিবুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, মুকুন্দ ঘোষ, আরশাদ আলী, ইদুজ্জামান, শফিকুল ইসলাম, দিপংকর বিশ্বাস, মনোরঞ্জন মন্ডল প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার বার বার শিক্ষকদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। সরকার ষোলহাত ছাতি কুড়ো দেখিয়ে ২২ জানুয়ারী ৫০০ টাকার বাড়ি ভাড়া ও ৩০০ টাকার চিকিৎসাভাতা ঘোষনা করে শিক্ষকদের চরম অপমান করেছেন। শিক্ষামন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, উনার মুখে মধু, কিন্তু বিষে ভরা দাঁত। চারটি বছর উনি শিক্ষকদের আশা দিয়েছেন। চার বছরে উনি শিক্ষকদের জন্য অনেক বড় বড় বুলি আউড়িয়েছেন। সরকারের শেষ বছরে এসে উনি শিক্ষকদের আশার কফিনে পেরেক বিদ্ধ করেছেন। উনি বিশ্বাস ঘাতক নাকি আশা ঘাতক? শিক্ষকদের কী উনি ভিক্ষা দিয়েছেন? শিক্ষকরা ভিক্ষুক নয়। উনি কি শিক্ষকদের মাস্তানি ভাতা দিয়েছেন? ঢাকায় মাস্তানি ভাতা কি মাসে ৫০০ টাকা? সমাবেশে এভাবে সরকারের কাছে নানা প্রশ্ন করেন শিক্ষকরা। শিক্ষক-কর্মচারী নেতৃবৃন্দ সরকারের এই হটকারী সিন্ধান্তের পরিবর্তন করে অবিলম্বে শিক্ষকদের সম্মান জনক বাড়ী ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান, শিক্ষা সরকারি করণসহ বর্তমান সরকার কর্তৃক প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতি সকল স্তরে বাস্তবায়ন ও শিক্ষকদের মর্যাদা প্রদানের দাবী জানান।