আজ || রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  গোপালপুরে মাদরাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে গণশুনানি       ভূঞাপুর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি       গোপালপুরে ১৮ বছর পর স্বনামে ফিরলো আব্দুস সালাম পিন্টু কলেজ       গোপালপুরে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত       ক্ষেতের আইল দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে ভোগান্তিতে শিশু শিক্ষার্থীরা       গোপালপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন       গোপালপুরে জামায়াতে ইসলামীর পৌর শাখার কর্মী সম্মেলন       ইমনরা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে: টাঙ্গাইল জেলা জামায়াত আমীর        গোপালপুরে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন       ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগকে এদেশের মানুষ মাথা তুলে দাড়াতে দিবেনা : সালাউদ্দীন আহমেদ    
 


ফাস্টফুড সংস্কৃতি বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে

অপরিকল্পিত নগরায়ন ও ফাস্টফুড সংস্কৃতির কারণে দ্রুত মুটিয়ে যাচ্ছে শহরের মানুষ। পর্যবেক্ষক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনঘাত্মী নানা রোগে ঝুঁকিতে আছেন শহরের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী ও এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি পুরুষ।

কর্মব্যস্ত নগরজীবনে আড্ডা, প্রেম, পার্টি, অফিস, অবসর, বিনোদন বা বিকেলে কাজের ফাঁকে নাশতা হিসেবে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন রেস্তোঁরা অথবা ফাস্টফুড কর্নারকে।

শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষকে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ফাস্টফুডের দোকানে ভিড় করতে। অতিরিক্ত ক্যালরি সমৃদ্ধ এসব মুখরোচক খাবার স্বাস্থ্যসম্মত কিনা, সেই মাপজোক করছেন না কেউ।

বেসরকারি হিসেব মতে, অতীতের তুলনায় শহুরে মানুষ চাহিদার অতিরিক্ত ৫৮ শতাংশ শর্করা ও ১৬ শতাংশ চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণ করছ। গ্রামে যেখানে মোট জনসংখ্যার ৫৭ শতাংশ কায়িক পরিশ্রম করে, শহরে সেই সেই হার মাত্র ১০ ভাগ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার এবং শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে দিন দিন বাড়ছে মোটা মানুষের সংখ্যা। শহরের অর্ধেকের বেশি নারী এবং এক তৃতীয়াংশ পুরুষ মোটাজনিত জটিলতায় ভুগছেন।

এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা দায়ী করছেন, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও ফাস্টফুড সংস্কৃতিকে। অতিরিক্ত মেদ জন্ম দিতে পারে নানা ধরনের জীবনঘাতী রোগের।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন প্রফেসর, এ কে আজাদ খান ফাস্টফুড কালচার গড়ে ওঠতেছে। মোটা হওয়া আসলেই একটা অসুখ শুধু তাই নয় এর থেকে অনেক অসুখের সৃষ্টি হয়।

ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, হৃদরোগ এসবগুলো মোটা হওয়ার সাথে সম্পর্কযুক্ত। অতিরিক্ত মুটিয়ে যাওয়া মানুষেরা রয়েছেন মৃত্যু ঝুঁকিতে।

পরিত্রাণের উপায় হিসেবে জনসচেতনতার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা জোর দিলেন সুষম খাবার আর নিয়মিত ব্যায়ামের উপরে। মোট মৃত্যুহারের হিসেবে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন শতকরা ৬ দশমিক ২ ভাগ।

হার্ট অ্যাটাকে ২ দশমিক ৪ ভাগ, স্ট্রোকে ৩ দশমিক ৬ ভাগ, অন্যান্য হৃদরোগে ৬ দশমিক ৫ ভাগ মানুষ মারা যাচ্ছেন। সর্বমোট ১২ দশমিক ৫ ভাগ মৃত্যুর কারণ নানাবিধ হৃদরোগ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট অধ্যাপক ড. খুরশীদ জাহান বলেন, সালাদ খাওয়ার অভ্যাস তৈরী করতে হবে। আমার যে প্রতিদিনের খাবার সেই খাবারটা যেন ব্যালেন্সফুল হয়। ছেলেমেয়েরা যেন খেলাধুলা করতে পারে তার জন্য মাঠ দরকার। এবং বড়দের জন্য পার্ক করা দরকার।

এছাড়া দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, আইন প্রণয়ন ও কাঠামোগত পরিবর্তনের কথা বললেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র : সময় টিভি।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!