দিল্লির গণধর্ষণের ঘটনায় দামিনীর মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার কাটতে না কাটতেই ভারতে আবারো গণধর্ষণের পর গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল। শনিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরের উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসতের নীলগঞ্জ এলাকায়।
চল্লিশ বছরের গৃহবধূ স্থানীয় একটি ইটভাটার কর্মী ছিলেন। সন্ধ্যা নামার পরও স্ত্রী বাড়ি ফিরে না আসায় ভ্যানচালক স্বামী মহসীন আলি ইটভাটা গিয়ে স্ত্রীর খোঁজ করতে গিয়ে দেখেন, তার স্ত্রীকে কয়েকজন মদ্যপ যুবক টানাহেঁচড়া করছে। এতে বাধা দিয়ে গিয়ে তিনিও আক্রান্ত হন। তাকেও হাত-পা বেধে শরীরের মদ ঢেলে দেয়।
নিহত গৃহবধূর বড় ছেলে আলফাজ আলী অভিযোগ করেছেন, তার বাবাকে বোতল দিয়ে মারা হলে সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং সেই সুযোগে তার মাকে গণধর্ষণ করা হয়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে ইটভাটা লাগোয়া একটি পুকুরে ওই গৃহবধূকে ফেলে যাওয়া হয়।
খবর পেয়ে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায় বারাসত থানার পুলিশ। সেখানেই ময়না তদন্ত করা হবে দেহ।
অন্যদিকে গুরুতর আহত মহসীন আলীকে প্রথমে বারাসত জেলা হাসপাতাল এবং সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উত্তর চব্বিশ পরগনার পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেছেন, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কি হয়নি সেটা ময়না তদন্তের পরই বলা যাবে।
দিল্লির ধর্ষণকাণ্ডের ঘটনায় দেশজুড়ে যখন ধর্ষণবিরোধী মানসিকতার প্রকাশ ঘটছে, ঠিক সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের গণধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় নতুন করে পরিস্থিতি গরম করবে।