প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আশুলিয়ায় তাজরিন ফ্যাশনসে আগুন পরিকল্পিতভাবে লাগানো হয়েছিল।
ওই অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক শ্রমিকের প্রাণহানিতে সোমবার জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাবের ওপর অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী আরো কয়েকটি প্রসঙ্গে তুলে বলেন, সব ঘটনাই একসূত্রে গাঁথা।
রোববার রাতে আশুলিয়ার দেবনায়ার ফ্যাশনসে আগুন লাগানোর চেষ্টার ঘটনা তুলে ধরে এর আগের দিন তাজরিনের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, এই আগুনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
তিনি বলেন, “গতকালকে (দেবনায়ার) যে ঘটনাটা ঘটেছে। একজন মহিলা শ্রমিক ভেতরে গিয়ে আগুন দেয়। সে আগুন দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরেকজন মহিলা শ্রমিক সেখানে গিয়ে চিৎকার দেয়। আগুন নেভায় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে।
“আমি সিসি ক্যামেরার ওই ছবি দেখে এসেছি। একজন মহিলা ঘরে ঢুকল এবং আগুন দিয়ে বের হয়ে এল।
শনিবার সন্ধ্যায় তাজরিনে অগ্নিকাণ্ডের পরদিন দেবনায়ারে আগুন লাগানোর চেষ্টার অভিযোগে সুমি বেগম ও জাকির নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শেখ হাসিনা বলেন, সুমি ২০ হাজার টাকা পেয়েছে এই আগুন দেয়ার জন্য। যে টাকা দিয়েছে তাকেও ধরা হয়েছে। কিন্তু, এর পেছনে কারা আছে, তাদের বের করতে হবে।
“এটা কোনো অ্যাকসিডেন্ট নয়, পরিকল্পিত ঘটনা। যখন বায়াররা আসে, কনট্রাক্ট সই করা হয়, তখনি এই ঘটনা ঘটানো হল,” বলেন প্রধানমন্ত্রী।
রামুতে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস, পুলিশের ওপর সাম্প্রতিক হামলা, পোশাক কারখানায় আগুনের ঘটনাগুলোকে সূত্রবদ্ধ করে তিনি বলেন, এক নম্বরে পুলিশ, এরপর গার্মেন্টস, এরপর কি?
আগুনের ঘটনাগুলোতে কোনো মহল ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা অনেকে চালিয়েছে। দুর্ঘটনার পর মানুষকে সাহায্য না করে অনেকে শুরু করে ভাংচুর করা। এই ঘটনা ঘটেছে রামুতে, বহদ্দারহাটেও ঘটেছে একই ঘটনা।
“আশুলিয়ায় আমি আগে থেকে ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাঠানো হয় রাতেই।”