আগের দিন শেষ বলে সাকিবের উইকেট হারানোর সাথে সাথেই বাংলাদেশের ললাটে লেখা হয়ে গিয়েছিল আরেকটি বড় পরাজয়। দেখার ছিল অন্যদের নিয়ে নাসির কতদূর টেনে নিয়ে যেতে পারেন ইনিংসটাকে। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরিয়ান আবুল হাসান রাজুকে দারুণভাবে সমর্থন দিয়ে যাওয়া মাহমুদুল্ললাহর কাছে নাসিরের চাওয়াটাও একই রকম ছিল। কিন্তু এবার আর পারলেননা রিয়াদ। টিকতে পারলেন কেবল ২ মিনিট। দিনের ৪র্থ বলেই বাঁহাতি স্পিনার পেরমলকে সুইপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়ে আউট হয়ে গেলেন সুনীল গাভাস্কারের কাছ থেকে ৮ নম্বরে সেরা ব্যাটসম্যানের স্বীকৃতি পাওয়া এই ব্যাটসম্যান। ইনিংস পরাজয় এড়াতে তখনও প্রয়োজন আরও ৩৪ রান। এরপর সোহাগ গাজীর সাথে নাসিরের জুটিতে ইনিংস পরাজয়ের মেঘ কেটে যাওয়ার আভাস। ২৬ রানের জুটি গড়ার পর দলকে ২৫৪ রানে রেখে বিদায় নেন সোহাগ। তাতে কি, প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান রাজুতো কেবলই মাঠে প্রবেশ করলেন। এডওয়ার্ডসের করা ইনিংসের ৬৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ১ রান নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা নিশ্চিত করেন। ইতোমধ্যে নাসিরের ব্যক্তিগত সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৮৬।
নাসির ছুটছেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দিকে। ৬৫তম ওভারে আক্রমণে আসলেন বেস্ট। প্রথম ৩ বলে ৮ রান নিয়ে ৯৪ এ পৌঁছে গেলেন নাসির। কিন্তু এরপরই যেন খেই হারিয়ে ফেললেন। বেস্টের ভেতরে ঢোকা বল আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বোল্ড। টানা তিন ইনিংসে দ্বিতীয়বারের মত নব্বইয়ের ঘরে আউট হয়ে গেলেন। রুবেলকে নিয়ে রাজুও পারলেননা বেশিদূর যেতে। ২৮৭ রানে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রুবেল যখন আউট হলেন তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে কেবল ২৬ রানে। ২৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা গেইলের সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখতে যাওয়ার তাড়া থেকে থাকবে হয়ত। আবু নাসের স্টেডিয়ামে টাইগার বোলারদের পিটিয়ে সিরিজে রান না পাওয়ার ঝাল মেটালেন। ৩০ রান করতে সময় নিলেন মাত্র ৪.৪ ওভার। টেস্ট ক্রিকেটে তৃতীয়বারের মত ১০ উইকেটে হারলো বাংলাদেশ। ১৬ বল খেলে ৫ চারে গেইল একাই করলেন ২০ রান। ওয়ানডে সিরিজের আগে কি আগাম বার্তাও দিয়ে রাখলেন টাইগারদের? ডাবল সেঞ্চুরি করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন স্যামুয়েলস, সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছেন চন্দরপল।