আন্তর্জাতিক দেস্কঃ মিশরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি এক ডিক্রি জারি করে ব্যাপক ক্ষমতা নিজের হাতে নেয়ার পর বিরোধী দলগুলো আজ এর বিরুদ্ধে বড় ধরণের বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
প্রেসিডেন্টের জারি করা ডিক্রিতে বলা হয়, তাঁর কোন সিদ্ধান্ত বাতিলের ক্ষমতা কারও নেই, এমনকি আদালতেরও নয়।
মোহাম্মদ মুরসির সমালোচকরা একে ‘অভ্যুত্থান’ বলে বর্ণনা করেছেন।বিরোধী নেতা সামেহ আশুর, মোহাম্মদ এল বারাইদেই এবং আমর মুসা এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের ওপরই নিরংকুশ কর্তৃত্ব স্থাপন করতে চাইছেন। তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করছেন।
এর বিরুদ্ধে মিশরের সব মানুষকে আজ প্রতিবাদে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এই তিন নেতা।
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মোহাম্মদ এল বারাদেই টুইটারে মন্তব্য করেন যে প্রেসিডেন্ট মুরসি কার্যত নিজেকে মিশরের নতুন ফারাও বলে ঘোষণা করেছেন। মিশরের গণবিপ্লবের জন্য এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
হোসনি মুবারক বিরোধী গণ আন্দোলনের আরেক গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক ওয়েল ঘোনিম বলেছেন, আরেক স্বৈরাচারি শাসককে খুঁজে বের করার জন্য মিশরে গণবিপ্লব হয়নি।
তবে প্রেসিডেন্ট মুরসির সমর্থকরা বলেছেন, গণবিপ্লবকে রক্ষার জন্যই তাঁকে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। সাবেক হোসনি মুবারক শাসনামলের যে প্রভাব এখনো প্রশাসন ও রাষ্ট্রযন্ত্রে রয়ে গেছে, তা নির্মূল করতেই এটা করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট এই ডিক্রি বলে যে ক্ষমতা হাতে নিয়েছেন এর ফলে তার কোন আদেশ, সিদ্ধান্ত এবং আইন বাতিল করা যাবে না। এছাড়া মিশরের সাংবিধানিক পরিষদ ভেঙ্গে দেয়ার ক্ষমতাও আদালতের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছে। এই সাংবিধানিক পরিষদ এখন মিশরের জন্য এক নতুন সংবিধান রচনা করছে।
প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি এর আগে প্রধান সরকারি কৌশুলিকে বরখাস্ত করেন। একই সঙ্গে মুবারক বিরোধী গণআন্দোলনের সময় যারা বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছিল, তাদের নতুন করে বিচারের নির্দেশ দেন। তার এই নির্দেশের ফলে সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকেরও নতুন করে বিচার হতে পারে। তিনি এখন যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছেন। [বিবিসি]