সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড এলাকার আব্দুল আলিম নামের এক যুবকের মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড ঘটে গেছে। পানিতে ডুব দেওয়া চোরকে খুঁজতে চট্টগ্রাম নগরী থেকে ডুবরি তলব করা হয়েছে। জানা যায়, আব্দুল আলিম বাড়বকুণ্ড থেকে সীতাকুণ্ড উত্তর বাজারে পেট্রোল নিতে যাওয়ার পথে সীতাকুণ্ড বাইপাস রোডে মোটর সাইকেলের স্ট্রাট বন্ধ হয়ে যায়। তার সঙ্গীয় এক বন্ধুকে তেল আনতে পাঠিয়ে তিনি পাশ্ববর্তী একটি দোকানে চা খেতে যান। এই সুযোগে মনা ও আব্বাস নামে দুই চোর বাইপাস রাস্তায় অন্ধকারে মোটর সাইকেল দেখতে পেয়ে তারা সাইকেলটি চুরির উদ্দেশ্যে পাশ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দেয়। আলীম কিছুক্ষণ পর এসে দেখেন তার মোটরসাইকেলটি নেই। কিছু দূরে দু’জন লোক অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাদেরকে মোটরসাইকেলটি দেখেছেন কিনা জিজ্ঞাসা করলে এরা আলিমের উপর চড়াও হয়। এতে আলিম আব্বাসকে ঝাপটে ধরে চোর চোর করে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। একপর্যায়ে আব্বাস স্বীকার করে মনা ও সে মোটরসাইকেলটি পুকুরের পানিতে ফেলে লুকিয়ে রাখে। উপস্থিত লোকজন আব্বাসকে পানি থেকে মোটরসাইকেলটি তোলার জন্য চাপ দিলে সে পানিতে নামার পর ডুব দেয়। এর পর থেকে তার আর হদিস পাওয়া যায়নি। তখন থেকে তাকে আর না দেখে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ ও লোকজন দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ওসি সামিউল, এসএসপি সার্কেল ইকবাল আলী। তারা এসে খবর দেন ফায়ার সার্ভিসকে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন পানিতে নেমে আব্বাসের সন্ধান না পেয়ে পুকুর থেকে ওঠে আসেন। সিদ্ধান্ত হয় নগরী থেকে ডুবরি আনার। এরই মধ্যে মোটরসাইকেলের মালিক আলিমকে পুলিশ হাজতে বন্দি করে রাখে। পরে অপর চোর মনাকে এক জায়গায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এএসআই ছবুর মনাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তার থেকে জানতে পারেন চোর আব্বাস তার ফুফুর বাড়িতে লুকিয়ে আছে। সে পানিতে নেই। এরপরই পুলিশসহ সকলের দুশ্চিন্তা কমে। নগরী থেকে আসা ডুবরিদেরকে ফেরত পাঠানো হয়। পরবর্তী এসএসপি সার্কেলের সিদ্ধান্তক্রমে চোরদের বিরুদ্ধে আলীম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। আটক মনা চোরকে কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে ও আব্বাস পলাতক রয়েছে।