বাংলাদেশ টাইমস ডেস্কঃবিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতা ক্ষমতায় এলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এনে দেশের চেহারা পাল্টাবেন। তিনি যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন সারা দেশে গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হয়েছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু সিলেটেই ১০টি গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছিল। তিনি কি আবারও এসব করে দেশের চেহারা পাল্টাবেন?’ আজ বৃহস্পতিবার গণভবনে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাঁর (খালেদা জিয়া) সময়ে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ছিল। আমরা ক্ষমতায় এসে দুর্নীতির সেই অপবাদ ঘুচিয়েছি। তিনি আবার ক্ষমতায় এলে কি দেশ আবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবে?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশে দারিদ্র্যের হার কমিয়েছে। উনি ক্ষমতায় এলে কি তাহলে আবার দারিদ্র্যের হার বাড়িয়ে দেবেন? আওয়ামী লীগ শিক্ষার হার বাড়িয়েছে। উনি কি শিক্ষার হার কমিয়ে দেবেন? আওয়ামী লীগ সরকার সমুদ্র বিজয় করেছে। উনি ক্ষমতায় এলে কি ওই জলসীমা মিয়ানমারকে ফিরিয়ে দেবেন?’
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সততা নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বক্তব্যের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উনি বলেছেন তাঁর ছেলে এবং উনারা খুব সত্ জীবন যাপন করেন। আমার প্রশ্ন, এত সত্ জীবন যাপন করলে তাঁদের এমন চালচলন এবং বাহারি পোশাক পরিচ্ছদ ও অলংকার আসে কোথা থেকে? তাঁরা আগে ভাঙা স্যুটকেস এবং ছেঁড়া গেঞ্জির কথা বলতেন। তাহলে কোকো লঞ্চ, ড্যান্ডি ডায়িং, ইন্ডাস্ট্রি, ব্যাংক ব্যালান্স এগুলো এল কোথা থেকে?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উনার (খালেদা জিয়া) ছেলে বিদেশে থাকে। সেখানে কোন এলাকায় কীভাবে থাকে, সে তথ্য আমাদের কাছে আছে। এ ছাড়া এফবিআই (মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা) তাঁদের দুর্নীতির সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। তাঁরা যদি এতই সত্ হন, তাহলে জরিমানা দিয়ে কালোটাকা সাদা করলেন কেন?’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন সিরাজের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাউদ্দিন আহমেদ, দপ্তরবিহীনমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, বস্ত্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, বি এম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ। [বাংলাদেশ টাইমস/এমএন/ঢাকা]