বাংলাদেশে বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ২১ জনের মৃত্যূদন্ড মওকুফ করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনাই মূল বিষয় ছিল বলে অভিযোগ তুলেছে দেশটির একটি মানবাধিকার সংগঠন।
সংবিধান বিশেষজ্ঞদের অনেকই বলছেন, সাজা মওকুফের কোনও নীতিমালা না থাকায় এবং সিদ্ধান্তের পর তা গোপন রাখার কারণেই এ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে। অবশ্য সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে।
এর আগে সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যে প্রকাশ পায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ৪০ বছরে রাষ্ট্রপতি তাঁর ক্ষমতাবলে মোট ২৫ জনের মৃত্যূদন্ড মওকুফ করেছেন। কিন্তু তার মধ্যে ২১ জনই মাফ পেয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের বর্তমান মেয়াদে।
“আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের বর্তমান মেয়াদে যাদের মৃত্যূদন্ড মওকুফ করা হয়েছে, তাদের প্রত্যেকেরই কোন না কোন ভাবে আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে ”
আদিলুর রহমান খান, অধিকার
যে পরিসংখ্যান সংসদে উঠে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১০ সালে এক বছর সময়কালের মধ্যেই ক্ষমা করা হয়েছে ১৮ জনকে।
এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর জেলার আওয়ামীলীগ নেতা আবু তাহেরের ছেলে এইচ এম বিপ্লব রয়েছেন। সেখানকার বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় তার ফাঁসি হয়েছিল। এ ঘটনা ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছিল।
শীর্ষ পর্যায়ের একটি মানবাধিকার সংগঠন অধিকার এর আদিলুর রহমান খান বলছিলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের বর্তমান মেয়াদে যাদের মৃত্যূদন্ড মওকুফ করা হয়েছে, তাদের প্রত্যেকেরই কোন না কোন ভাবে আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অধিকারের গবেষণায় উঠে এসেছে।
তিনি বলেন, সে কারণেই মৃত্যূদন্ড মাফ করার এসব সিদ্ধান্তের পিছনে রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে বলে তাদের মনে হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়ার বাইরে কোন প্রশাসনিক আদেশে কারও সাজা মওকুফ করা হলে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি নতুন করে অবিচার করা হয়। [বিবিসি]