আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত একশ’র বেশি মানুষ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েলের মন্ত্রী সভার সদস্যরা গাজা ভূখন্ডে পরবর্তী সামরিক অভিযান কি হবে সে ব্যাপারে আলোচনা করতে এক বৈঠকে বসেছে।
ইসরায়েলের সরকারী বেতার থেকে বলা হয়েছে মন্ত্রীরা প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ে এক বেঠকে বসেছেন সেখানে মিশরের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের ব্যাপারেও আলোচনা হবে।
এদিকে উদ্ভুত পরিস্তিতি কিভাবে শান্ত করা যায় সে প্রসঙ্গে মার্কিন ও মিশরের প্রেসেডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সঙ্গে কথা বলেছেন।
মিশর ইসরায়েল ও হামাস কে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে যে প্রস্তাব দিয়েছে তাতে উভয় পক্ষই যুদ্ধ বিরতির ব্যাপারে শর্ত দিয়েছে।
যদিও কায়রোর যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবের মধ্য কি রযেছে তার বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
শর্ত হিসেবে হামাস বলছে গাজা ভূখন্ড থেকে ইসরায়েলের অবরোধ প্রত্যা্হার করতে হবে এবং ইসরায়েলের শর্ত গাজা থেকে রকেট হামলা বন্ধ করা।
এই অবস্থায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্ততাকারী মিশরের প্রথানমন্ত্রী হিসাম কান্দিল বলছেন তিনি বিশ্বাস করেন একটি যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা আসতে পারে।
মি. কান্দিল বলছিলেন আমি মনে করি আমরা খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।
তবে এই ধরনের আলোচনার গতিপ্রকৃতি অনুমান করা খুব কঠিন।
কিন্তু যেমন আমি উল্লেখ করেছি প্রত্যেকে এটা বন্ধ করার জন্য উদ্বেল হয়ে আছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের জঙ্গী গ্রপ ইসলামিক জিহাদ বলছে যে ইসরায়েলি হামলায় তাদের একজন সামরিক নেতা নিহত হয়েছেন।
তারা বলছে গাজায় সংবাদ মাধ্যমের একটি ভবন লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েল বলছে তারা ভবনের ৩য় তলা লক্ষ্য করে হামলাটি করে কারণ তাদের কাছে খবর ছিল ইসলামিক জিহাদের চারজন জেষ্ঠ্য সদস্য সেখানো লুকিয়ে ছিল।
গাজায় কর্মরত চিকিতসকরা বলছেন গাজায় টানা ছয দিনের হামলায় এ পর্যন্ত মৃত্যের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে।
আর ফিলিস্তিনি জঙ্গিরা এ পর্যন্ত একশ’র বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলে।
মিশরের প্রধানমন্ত্রী মি. কান্দিল বলছেন প্রথম যে জিনিস আমাদের করা দরকার সেটা হল যুদ্ধবিরতির ঘোষনা।
এবং তারপর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষে একটি শান্তি আলোচনা করা ।
যেটা হবে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র।
এদিকে ইসরায়েল ও গাজা ভুখন্ডে যে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা উত্তরণে ক্রমেই আর্ন্তজাতিক চাপ বাড়ছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন কায়রোতে পৌঁছেছেন।
বান কি মুনের ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে।
এদিকে হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হযেছে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মিশরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে উদ্ধুত পরিস্থিতি কিভাবে শান্ত করা যায় যে প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ।