সোমবার নারায়ণগঞ্জে মিছিল বের করে পুলিশের ওপর শিবিরের হামলার ঘটনায় জেলা জামায়াতের আমীরসহ ৪৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমদসহ তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার গভীর রাতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সদর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়।
শিবিরের হামলায় আক্রান্ত নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের জানান, নারায়ণগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিয়ার রহমান বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা, জনস্বার্থ বিঘ্নিত করার কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অভিযোগে একটি ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে অপর মামলাটি করেন।
এ সময় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের উপর হামলা, মারধরের ঘটনায় জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমদকে প্রধান আসামি করে মামলাটি করা হয়। এছাড়া মামালায় আরো অজ্ঞাতপরিচয় ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়।
অপর মামলায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিবিরের সভাপতি নাসিরুল্লাহসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো অনেকে আসামি করা হয়েছে।
রাত পৌনে ১২টায় শহরের হাজীগঞ্জ এলাকার বাসায় অভিযান চালিয়ে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমদকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে জেলা জামায়াতের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জুবায়েদ ও রূপগঞ্জ থেকে উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মুড়াপাড়া কলেজের শিক্ষক মোহাম্মদ আলী খানসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ। এ সময় সন্দেহভাজন আরো ৩৬ জনকে আটক করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সোমবার বেলা পৌনে ১১টায় শহরের দুই নং রেলগেইট এলাকায় ঝটিকা মিছিল থেকে শিবির পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং ওসির পিকআপ ভ্যান ভাংচুর ও তাতে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের ও দুই পুলিশদ সদস্যসহ ১০ জন আহত হন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২০ রাউন্ড গুলি ও ১০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।