মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিজ দেশের জনগোষ্ঠী হিসাবে স্বীকার করে নেয়ার জন্য মিয়ানমারের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দানকালে তিনি এ আহ্বান জানান। বিবিসির খবরে একথা বলা হয়।
প্রেসিডেন্ট ওবামা মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে মুসলমান ও বৌদ্ধদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অবসান ঘটানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে সময় লাগবে। তবে আমাদের অভিন্ন মানবতা এবং এ দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে উস্কানি ও সহিংসতা বন্ধ করা জরুরি। ছাত্রদের উদ্দেশে ভাষণে প্রেসিডেন্ট ওবামা আরো বলেন, আমেরিকা মিয়ানমারের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে সহায়তা দেবে এবং এ দেশের অগ্রগতির যাত্রাপথে একটি অংশীদার হবে। ২০০৯ সালের ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রথম দফা শপথ গ্রহণের দিন তিনি যে ভাষণ দিয়েছিলেন সে কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, সেদিন আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, যে দেশ আমাদের দিকে হাত বাড়িয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রও সে দেশের প্রতি তার হাত প্রসারিত করবে। আজ আমি আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে এসেছি। আমি আমার বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলাম। তবে এ ঐতিহাসিক যাত্রা মাত্র শুরু হয়েছে। আমাদেরকে অনেক দূর যেতে হবে।
তার আগে প্রেসিডেন্ট ওবামা মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিয়েন সেইনের সঙ্গে বৈঠককালে বলেন, মিয়ানমারে সূচিত সংস্কার হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা এ দেশকে অবিশ্বাস্য উন্নয়ন উপহার দেবে। তারপর ওবামা মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে তার লেকসাইড বাসভবনে দেখা করেন। এসময় একজন আরেকজনের গালের সঙ্গে গাল লাগিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। সু চি প্রেসিডেন্ট ওবামাকে অভিনন্দন জানিয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সামনে কঠিন দিন অপেক্ষা করছে। প্রেসিডেন্ট ওবামা মিয়ানমারে তার ঐতিহাসিক সফরকালে সে দেশের রাজধানী নেই পাউ তাউয়ে যাননি। তবে তিনি ইয়াঙ্গুুনে বিখ্যাত শুয়েডাগন প্যাগোডা সফর করেন। এসময় রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে লোকজন তাকে অভিনন্দন জানায়। মিয়ানমার সফরকালে প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। থাইল্যান্ড সফর শেষে সোমবার প্রেসিডেন্ট ওবামা মিয়ানমারে এসে পৌঁছান। মিয়ানমারে মাত্র ৬ ঘন্টা সফর শেষে তিনি কম্বোডিয়া রওনা হয়ে যান। কম্বোডিয়ায় তিনি আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করবেন।
সম্পাদক : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন | নির্বাহী সম্পাদক : কে এম মিঠু
প্রকাশক কার্যালয় : বেবি ল্যান্ড, বাজার রোড গোপালপুর, টাঙ্গাইল -১৯৯০, বাংলাদেশ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - ২০১৯-২০২৩