বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমানের আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে এ মামলার বাদী আহাদুর রহমান এ কথা বলেন। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানার (সিইউএফএল) জেটিঘাট থেকে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের রাতে তিনি কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি সাবেক এনএসআইয়ের কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিমের পক্ষে আইনজীবী কামরুল ইসলাম সাক্ষীকে কিছুক্ষণ জেরা করেন। আদালত ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন।
সাক্ষ্যে আহাদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার রাতে জেটিঘাট থেকে হাবিলদার গোলাম রসুল ও সার্জেন্ট হেলাল উদ্দিন উলফা সন্দেহে পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করে বন্দর ফাঁড়িতে নেন। পরে সার্জেন্ট আলাউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারি, আটক পাঁচজনকে বন্দর অঞ্চলের উপ-কমিশনার (ডিসি, পোর্ট) চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনারের পরামর্শে তত্কালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরের নির্দেশে ছেড়ে দেওয়ার আদেশ দেন।’
দশ ট্রাক অস্ত্র আটকের পর ঘটনার রাতেই উলফা সন্দেহে আটক পাঁচজনকে তত্কালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের নির্দেশে ছেড়ে দেওয়া হয়।