টাইমস প্রতিনিধিঃ ১৫ নভেম্বরের সেই ভয়াল রাতের কথা আজও ভুলতে পারেননি পিরোজপুর বাসি। ২০০৭ সালের এই রাতে দনি উপকুলিয় অঞ্চল পিরোজপুর অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া স্বরন কালের প্রলয়ংকারি ঘুর্ণিঝর সিডরের তান্ডব লীলায় এবং পানির তোরে ভেসে যায় অগনিত কাচা,আধাপাকা,পাকা ঘরবাড়ি ,গবাধিপশু এবং প্রান হানি ঘটে আগনিত মানুষের। পানির স্রতে ভেসে যাওয়া স্বজনদের হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পরে এ অঞ্চলের মানুষ। সকালের আলোয় দেখা যায় গাছের ডালে ঝুলন্ত, নদীর পানিতে ভাসে লাশ। আজও সেই কথা মনে পরলে ছম ছম করে ওঠে গা। সিডর পরবর্তীতে উপজেলায় গাছ পালা, মৃত পশু পাখি পচে দূষিত হয়ে পড়ে পানীয় জল ।
পানিবাহিত নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে এ অঞ্চলের মানুষ । এ সময় ভান্ডারিয়া উপজেলায় মৃতের সংখা দাড়ায় ১০৪ (সরকারি হিসেবে) জনের মতো, এ ছারা জেলার নাজিরপুরে ২২জন, মঠবারিয়ায় ১৭৮ জন, কাউখালিতে মৃতের সংখ্যা নাথলে ও ১৫ হাজার ৪শত ঘরবাড়ি,ি ব্রজ, কালবার্ট, ২শতাধিকের মত শিা প্রতিষ্ঠান, জিয়ানগর উপজেলায় ৭২ জন শিশু নারী ও পুরুষের প্রানহানী ঘটে। ১০ হাজার বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়ে যায়। নাজিরপুরে মারা যায় দুই সহাস্রাধীক গবাদী পশু ।
শত কোটি টাকার বনজ ও ফলজ গাছের য়তি হয় । আড়াই হাজার হেক্টর আমন ধানের তে বিনষ্ট হয় । একশ’ হেক্টর শীতকালীন সব্জীসহ অন্যান্য ফসলেরও ব্যাপক য় তি হয় । আর্থিক ভাবে সর্বোচ্চ তি গ্রস্থ হয় মধ্য বিত্ত পরিবার গুলো । এ ছাড়া উপজেলার মোট সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ের ১৬০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় , মাধ্যমিক স্তরের ৬২ টি ও ৭ টি কলেজের শতকরা ৭৫ভাগ সম্পুর্ন বা আংশিক তিগ্রস্থ হয়। সরেজমিনে গেলে উপজেলার চরখালী গ্রামে রাহেলা বেগম জানায় সরকারি -বেসরকারি সংস্থার সাহায্য তাদের ভাগ্যে কিছুই মেলেনি। সিডরের পর কয়েকবার ৫/ ১০ কেজি চাল, পুরনো কাপড় ও কিছু হাড়ি-পাতিল ছাড়া কিছুই মোরা পাইনাই।
কুলসুম জানায় মোগো খালি ভোটের সময় লাগে, ভোট গেলে আর কেউ খবর রাহেনা। এ ছাড়া ওই এলাকার অভাবী পারুল, দিনমজুর দুলাল, স্বামী পরিত্যাক্তা রাশিদা, নাছিমা জানান যাগো আছে হেরাই সাহায্য পায়। উপজেলার হরিন পালা আদর্শ গ্রামের মনোয়ারা বেগমের স্বামী শাজাহানকে ভয়াল সিডর কেড়ে নেয়, সে দিন রাতের ঘটনা বর্ননা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন মনোয়ারাও তার পরিবার। পশারিবুনিয়া গ্রামের আঃ মান্নানের স্ত্রী তার নিহত ছেলেকে এখন ও খুঁজে ফেরেন। সিডর পরবর্তীতে সরকারী সাহায্যের পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসহ, এনজিও ধনাঢ্য ব্যক্তিরা এগিয়ে আসেন দূর্গতদের পাশে। সরকারী ও বেসরকারী ভাবে উপজেলায় সিডরে তি গ্রস্থদের সাহায্য ও পুনর্বাসন সহ য়তি কাটিয়ে উঠতে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয় । তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সে কার্য ক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
শুরু হয় ব্যাপক দূর্নীতি ও ত্রান আত্মসাতের প্রতিযোগিতা । নদীতে ভাসতে দেখা গেছে ত্রানের মালামাল। র্যাব আবহ্যত আভিযানেও থেমে থাকেনি ত্রান আত্মসাত ও দূর্নীতি । খেয়ে না খেয়ে এখনও দিন কাটে অনেক তিগ্রস্থ পরিবারের, সর্বস্য হারিয়ে এখনও রাত কাটে খোলা আকাশের নিচে আনেক পরিবার। প্রায় ৫ বছর অতিক্রান্ত হলেও সরকারি ,বে সরকারি অনেক সংস্থা এখন পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চালিয়েগেলেও গুরে দাড়াতে পারেনি আনেক মানুষ।