চামার কাপুগেদেরার ছোঁয়ায় বদলে গেছে দুরন্ত রাজশাহী। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা দলটি টানা দুই জয়ে একেবারে তিনে। বরিশাল বার্নার্স, রংপুর রাইডার্সকে টানা হারানোর পর এবার শীর্ষে থাকা সিলেট রয়্যালসকে দ্বিতীয় হারের স্বাদ দিল রাজশাহী। জহুরুল ইসলামের ব্যাট হাতে ধারাবাহিক পারফরমেন্সেই দুই বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটের জয় পেল তারা। ৯ম খেলায় এটি রাজশাহীর ৫ম জয়। অপরদিকে ৮ম খেলায় এটি সিলেট দলের ২য় হার। অন্য ম্যাচে ঢাকা ৮৮ রানে রংপুরকে পরাজিত করে। ৮ম খেলায় এটি ঢাকার ৬ষ্ট জয়, অন্যদিকে সমান খেলায় রংপুরের ৫ম পরাজয়। দিনের প্রথম খেলায় সিলেটের ৮ উইকেটে ১৪৭ রানের জবাবে রাজশাহী ৫ উইকেটে ১৪৯ রান করে বিজয় নিশ্চিত করে। এদিন চার্লস কভেন্ট্রির সঙ্গে উদ্বোধনীতে নামেননি তামিম ইকবাল। দিলশান মুনাবীরাকে নিয়ে ৩৮ রানের জুটি গড়ে ডোয়াইন স্মিথের শিকার কভেন্ট্রি (২০)। এক ওভার ব্যবধানে দলীয় ৫১ রানে স্মিথের কাছেই বোল্ড হন আরেক ওপেনার মুনাবীরা (২১)। সাত রান যোগ করতে ফেরেন কাপুগেদেরা (৪) ও শন আরভিন (১)। এরপর জহুরুল দাঁড়িয়ে যান জিয়াউর রহমানকে নিয়ে। ৪৮ রানের শক্ত জুটি গড়ে এ ধাক্কা সামলান। ১৯ রানে এলটন চিগুম্বুরার শিকার হন জিয়াউর। তবে জহুরুলের দুর্দান্ত ইনিংসে জয় পেতে সমস্যা হয়নি দলের। ৩৭ বলে দুটি করে চার ও ছয়ে ৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। অপর প্রান্তে টানা তৃতীয় জয়ে জহুরুলের সঙ্গে ২৬ রানে টিকে ছিলেন মুক্তার আলী, তিনিও একটি চার ও দুটি ছয় হাঁকান।
রয়্যালসের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট পান ডোয়াইন স্মিথ।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়ে সিলেট। তৃতীয় বলে মিড অন দিয়ে একটি ছক্কা হাঁকিয়ে দারুণ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ওপেনার পল স্টারলিং। কিন্তু পরের বলেই নাঈম ইসলাম জুনিয়রের কাছে ক্যাচ তুলে দেন। এরপর ৫১ রানের জুটি গড়ে মুশফিকুর রহিমকে রেখে সাজঘরে ফেরেন ডোয়াইন স্মিথ। তার ক্যাচটি ফিরতি বলে নেন নাঈম। ২১ বলে তিন চার ও এক ছয়ে ২৪ রান করেন স্মিথ।
১০ রানে দিলশান মুনাবীরার শিকার হন মমিনুল। মুশফিকুর রহিম ১৯ তিন চার ও এক ছয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রানে মুক্তার আলীর বলে সাজঘরে ফেরেন। চিগুম্বুরা মাত্র ৮ রানে মুনাবীরার দ্বিতীয় শিকার। আশা জাগানিয়া জুটি গড়ার পথে মনির হোসেনের ওভারে এক বলের ব্যবধানে নাজমুল হোসেন মিলন ও মোহাম্মদ নবী হতাশ করেন। নাজমুল ১৬ রানে ও নবী ১৭ রানে সাজঘরে ফেরেন। সোহরাওয়ার্দী শুভ ১৮ ও বিশ্বনাথ হালদার ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। মনির ও মুনাবীরা সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে দখল করেন এডমন্ডসন, নাঈম ও মুক্তার।
দিনের দ্বিতীয় খেলায় ঢাকা প্রথমে ব্যাটে নেমে এনামুলের দুরন্ত ব্যাটে রানের পাহাড় গড়ে তোলে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২১৭ রান। এনামুল ৮৩, সাকিব ও স্টিভেন ৪২ করে, ডিলশান ১৮ ও আশরাফুল ১৪ রান করে। প্রতিপক্ষের মুরাদ নেয় ২টি উইকেট।
জবাবে সমান তালে রান তুলতে যেয়ে বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর। প্রথম সারির কোন ব্যাটসম্যানই ক্রিজে জমতে পারেনি। একের পর এক উইকেট পড়েছে। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১২৯ রানে শেষ হয় রংপুরের ইনিংস। দলের ধীমান অপরাজিত ৩৬, শরীফ ২১, ও’ব্রান ২০ ও বোরগাস ১৬ রান করে। বিজয়ী দলের সাকিব ৩টি এবং মাসরাফি ও আশরাফুল ২টি করে উইকেট নেয়।