হরতালে গাড়ি ভাংচুর করার অভিযোগে তিন জামায়াত শিবির কর্মীকে গণধোলাই দিয়েছে জনতা। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ২জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে হরতাল চলাকালে শহরের কুয়াইশ নতুন রাস্তার মাথা ও আন্দরকিল্লায় এসব ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকাল আটটায় অক্সিজেন কুয়াইশ সংযোগ সড়কের (নতুন রাস্তা) কুয়াইশ সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ডে ৪/৫জন যুবক ৪টি গাড়ি ভাংচুর করেছে। এ সময় স্থানীয় জনতা ভাংচুরকারীদের ধাওয়া করে ২জনকে আটক করে গণধোলাই দেয়। এদের মধ্যে আহসান উল্লাহ(২৫) পিতা আবদুল মান্নান, বাশঁখালি, চট্টগ্রামকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুলিশ প্রহরায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। সে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।
হাটহাজারি থানার মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই রাশেদুল হক জানান, আটক অপর যুবক হলো কুতুব দিয়া উপজেলার উত্তর ধুরং বাদশা মেম্বারের বাড়ির জনৈক মোহাম্মদ আবদুলের পুত্র মোহাম্মদ সারোয়ার (৩০)। এরা দুজনেই শিবির কর্মী।
এদিকে সকাল ১০টায় আন্দরকিল্লা মোড়ে পিকেটিং করার সময় জামায়াত কর্মী মফিজুর রহমান(৬০)কে স্থানীয় জনতা গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।
কোতোয়ালী থানার ডিউটি অফিসার এসআই সুপ্তা দত্ত ক জানান, আন্দরকিল্লায় গণপিটুনিতে একজন আহত হয়েছে।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাড়িঁর কনষ্টেবল মোহাম্মদ ইউসুফ
গুরুতর অবস্থায় মফিজুর রহমানকে ২৬নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।