আজ || শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  গোপালপুরের সেনেরচর আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যতো অভিযোগ       গোপালপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত       গোপালপুরে ছাগল পালনে স্বাবলম্বী শিল্পী রাণী এবং আন্না বেগম       গোপালপুরের ঝাওয়াইলে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ       গোপালপুরে দিনব্যাপী হাজী সম্মেলন অনুষ্ঠিত       গোপালপুরে বারেক মেম্বারের মৃত্যুবার্ষিকী পালন       গোপালপুরে বিদ্যুৎপৃষ্টে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু       গোপালপুরে ওয়ার্ডমাস্টার প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার প্রদান       গোপালপুরে সরকারি জমি দখল নিতে দুই পক্ষের উত্তেজনা, সড়ক অবরোধ       গোপালপুরে নূরানী মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত    
 


কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন

 

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা পাঁচ ও ছয় নম্বর অপরাধে তাকে এ দণ্ড দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় এ রায় ঘোষণা করেন। তবে ট্রাইব্যুনাল-২ এর এজলাস ছোট হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করা হয়।

এটি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার দ্বিতীয় এবং জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় কোনো নেতার বিরুদ্ধে প্রথম রায়।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার প্রথম রায় হয়েছে গত ২১ জানুয়ারি। ওই রায়ে জামায়াতের সাবেক সদস্য (রুকন) আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দেন একই ট্রাইব্যুনাল।

এদিকে ১৭ জানুয়ারি কাদের মোল্লার প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। এর আগে ২৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক সম্পন্ন করে।

কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) আব্দুর রাজ্জাক খান ও মনোয়ারা বেগমসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১২ সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদেরকে জেরা করেন।

কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়া রাষ্ট্রপক্ষের অন্য সাক্ষীরা হলেন-  মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহম্মেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা মামা বাহিনীর প্রধান ও কমান্ডার শহিদুল হক খান মামা, কাদের মোল্লার হাতে ক্ষতিগ্রস্ত এক নারী (ক্যামেরা ট্রায়াল), কবি কাজী রোজী, শহীদ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেবের ছেলে খন্দকার আবুল আহসান, সাবেক ছাত্রলীগকর্মী সাফিউদ্দিন মোল্লা, আব্দুল মজিদ পালোয়ান, কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর গ্রামের শহীদ নবী হোসেন বুলুর স্ত্রী নূরজাহান বেগম, মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লা ও সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম।

অন্যদিকে কাদের মোল্লা নিজেসহ ৬ জন সাফাই সাক্ষ্য দেন। অন্য ৫ সাফাই সাক্ষী হচ্ছেন- সুশীল চন্দ্র মণ্ডল, মোসলেম উদ্দিন মাস্টার, সাহেরা খাতুন, আলতাফ উদ্দিন মোল্লা ও এআইএম লোকমান। রাষ্ট্রপক্ষ তাদের জেরা সম্পন্ন করেছেন।

গত ৫ নভেম্বর কাদের মোল্লার পক্ষে ৯৬৫ সাফাই সাক্ষীর নামের তালিকা আসামিপক্ষ ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়ার পর ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণের অনুমতি দেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ২৮ মে ছয়টি অভিযোগে কাদের মোল্লার বিরদ্ধে চার্জগঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগগুলো হলো- কবি মেহেরুন্নেছাসহ বুদ্ধিজীবী হত্যা, পল্লবীর আলোকদি গ্রামে ৩৪৪ জনকে হত্যা, খন্দকার আবু তালেবকে হত্যা, বাঙলা কলেজের ছাত্র পল্লবসহ সাতজনকে হত্যা, কেরানীগঞ্জের শহীদনগর গ্রামের ভাওয়াল খান বাড়ি ও ঘাটারচরসহ পাশের দু’টি গ্রামে অসংখ্য লোককে হত্যা।

মুক্তিযুদ্ধকালে গোলাম মোস্তফা নামে এক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর কাদের মোল্লাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলাটি করেছিলেন কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী মোজাফফর আহমেদ খান। ২০০৮ সালে পল্লবী থানায় আরো একটি মামলা হয় কাদের মোল্লাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। ওই মামলায় ২০১০ সালের ১৩ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে গত ১ নভেম্বর জমা দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে হত্যা, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়। ২৮ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ১৬ এপ্রিল তারসহ তিনটি মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ট্রাইব্যুনাল-২ এ স্থানান্তর করা হয়।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!