বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘জামায়াতের রাজনীতি জামায়াত করছে। তাদের জবাবদিহি তাদের কাছে থাকবে। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, কোনো রকমের হিংসাত্মক ভায়োলেন্সে আমরা বিশ্বাস করি না। এ পর্যন্ত সে ধরনের কোনো কর্মসূচি আমরা দেইনি।’ আজ বুধবার রাতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের বৈঠক চলাকালে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। বিএনপির মদদে জামায়াত রাজপথে সহিংসতা করছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা সর্বৈব মিথ্যা। সরকারের মন্ত্রীবর্গ বিশেষ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথম থেকেই বিএনপিকে জড়িয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন। বিএনপিকে জড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ বিএনপি এর মধ্যে কোনো কর্মসূচি দেয়নি।’ তিনি বলেন, ‘জামায়াত একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে তারা বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি দিতেই পারে। সেটা তাদের দায়দায়িত্ব। ব্রিফিংয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে সরকারের বড় রকমের সংঘর্ষ চলছে। আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য সরকার রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে সুকৌশলে দেশে একটি অরাজক অবস্থার সৃষ্টি করছে।’ গাড়ি পোড়ানো, পুলিশের ওপর হামলা গণতান্ত্রিক কর্মসূচি কি না—এ প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে আসছি, গাড়ি পোড়ানো বা এ ধরনের হিংসাত্মক কর্মসূচির পক্ষে আমরা কখনো ছিলাম না।’ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করতে আজ রাত নয়টার দিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে তাঁর গুলশান কার্যালয়ে ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হয়। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আবদুল হালিম, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, খেলাফত মজলিসের আমির মোহাম্মদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান প্রমুখ। [প্রথম আলো]