প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকাতে সহিংস কর্মসূচি দিয়ে সাধারণ মানুষ ও পুলিশ হত্যার দায়ে খালেদা জিয়ার বিচার করা হবে।’
রোববার বিকেলে ঢাকার কামরাঙ্গীচর কোম্পানীঘাট ময়দানে বিশাল নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন এসএসসিতে খালেদা জিয়ার কি রেজাল্ট। সব বিষয়ে ফেল করে মাত্র ৩ বিষয়ে পাশ করেছে। সে গুলো হলো- বাংলা, অংক ও উর্দু।’
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার প্রথম নির্বাচনী এ জনসভায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে বলেন, ‘আপনারা দুই হাত তুলে ওয়াদা করেন আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন।’
শিক্ষায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগের মত মাসের পর মাস বইের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। এখন বছরের প্রথম দিনে ছাত্র-ছাত্রীরা নতুন বই পাচ্ছেন। বর্তমানে বাবা মাকে আর বই কিনতে হয় না, সরকার বই কিনে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখছে বিরোধী দলের নেত্রীর তা পছন্দ হচ্ছে না। বিএনপির আমলে ৪০ ভাগ পাস করতো এখন ৮৬ ভাড় পাস করে। পছন্দ না হওয়ারই কথা। আমি পাস করি নাই তো তোরা পাস করবি কেন? উনার কথা মনে হয় এটাই।’
২০ মিনিটের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার কলঙ্ক। এদেশের মানুষের কপাল থেকে এই কলঙ্ক আমরা মুছে ফেলতে চাই।’
বিরোধী দলীয় নেত্রীকে উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াতকে রক্ষার জন্য আপনি হরতাল দেন। আন্দোলনের নামে যতই আস্ফালন করেন, কেনো বিচার বন্ধ করতে পারবেন না। মানুষ পুড়িয়ে হত্যা ও পুলিশ মেরে বিচার কাজ বন্ধ করতে পারবেন না।’
শেখ হাসিনা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এই হত্যার জন্য একদিন বাংলার মাটিতে আপনি ও আপনার ক্যাডার এবং দোসরদের বিচার হবে।’
মহাজোট সরকারেরর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলবো। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ যাতে বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হয় সেইভাবে আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলবো।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন করে আর বিএনপি জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি করে।’
বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে ঢাকার কামরাঙ্গীচরের কোম্পানীঘাট ময়দানে বিশাল নির্বাচনী জনসভা মঞ্চে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খোলামুড়া-কামরঙ্গীরচর সেতু, হাসপাতাল, ১টি মাধ্যমিক ও ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনসহ পুলিশবাহিনীর জন্য গাড়ি প্রদান করেন।
কামরাঙ্গীচর থানার নির্বাচিত সংসদ সদস্য আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা নসরুল হামিদ বিপু, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।