ইরানের তেল রপ্তানি আবার বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছে। কিন্তু ২০১২ সালের জুলাইয়ে ইরানের তেল রপ্তানির ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পরও এই তেল রপ্তানি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বিশ্লেষকরা জানিয়েছন, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চীনের চাহিদা পূরণ ও তেলবাহী ট্যাংকারের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে ইরান নিষেধাজ্ঞার প্রভাব এড়াতে সক্ষম হচ্ছে। শিল্প সংস্থা, শিপিং কোম্পানি ও কাস্টমস তথ্য সূত্রে জানা গেছে, রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়ে ডিসেম্বর মাসে প্রতিদিন প্রায় ১৪ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়েছে। সূত্রগুলো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর শুরু হলে ডিসেম্বর মাসের শীর্ষ অবস্থা থেকে জানুয়ারিতে রপ্তানি আবার নেমে যাবে। ইরানের বিতর্কিত পরমাণু প্রকল্পের লাগাম টেনে ধরতে ইরানের তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। ২০১১ সালের শেষদিকে প্রতিদিন ২২ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করতো ইরান, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর ২০১২ সালে তা অর্ধেকে পর্যায়ে নেমে আসে। এতে ইরান তেল রপ্তানি থেকে পাওয়া শত শত কোটি ডলারের রাজস্ব হারায়। ইরানি মুদ্রাও সঙ্কটে পড়ে যায়। কিন্তু শীর্ষ আমদানিকারক চীন এবং ভারত ও জাপানের মতো অন্যান্য আমদানিকারকদের বাড়তি চাহিদা, নুতন তেলবাহী জাহাজ ক্রয়, এসব কিছুর সমন�য় বছরের শেষে ইরানের তেল রপ্তানিতে অপ্রত্যাশিত গতি এনে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপী ইউনিয়ন আশা করছে, অর্থনৈতিক চাপ ইরানকে পরমাণু প্রকল্পের বিষয়ে পশ্চিমা উদ্বেগ আমলে নিতে বাঁধ্য করবে। পরমানু প্রকল্পের মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে ইরান, পশ্চিমাদের এ অভিযোগ অস্বীকার করে ইরান সবসময়ই বলে আসছে, তাদের পরমাণু প্রকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চিকিৎসার মতো শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে নিয়োজিত। ইইউ'র নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর গত সেপ্টেম্বরে ইরানে তেল রপ্তানি ৯ লাখ ব্যারেলেরও নিচে নেমে গিয়েছিল। ডিসেম্বরে তা বেড়ে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর সরোচ্চ মাত্রায় এসে পৌঁছেছে। এতে ব্যারেল প্রতি আন্তর্জাতিক মূল্যের হিসাবে ডিসেম্বরে ইরানে আয় হয়েছে ৪শ' ৭০ কোটি ডলার।
সম্পাদক : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন | নির্বাহী সম্পাদক : কে এম মিঠু
প্রকাশক কার্যালয় : বেবি ল্যান্ড, বাজার রোড গোপালপুর, টাঙ্গাইল -১৯৯০, বাংলাদেশ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - ২০১৯-২০২৩