পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করে বিশ্ব ব্যাংককে দেয়া চিঠি বাংলাদেশ সরকার প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। শুক্রবার দেয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।
বিবৃতিতে বলা হয়, পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদনটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
দুই অনুচ্ছেদের ছোট্ট বিবৃতিতে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার এই চিঠি দেয় বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব ব্যাংকে জানিয়েছে, প্রকল্পটিতে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত অব্যাহত রাখবে সরকার।
বিশ্ব ব্যাংক জানায়, দুর্নীতির অভিযোগগুলো পূর্ণাঙ্গ এবং নিরপক্ষে তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনকে উৎসাতি করবে তারা।
এরআগে বুধবার বিশ্ব ব্যাংক প্রধান জিম ইয়ং কিম বলেছেন, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগের ‘পূর্ণাঙ্গ ও সুষ্ঠু ফৌজদারি তদন্তের বিষয়ে আশ্বস্ত না করা পর্যন্ত’ প্রকল্পটিতে ব্যাংকের অর্থায়ন পুনরায় বিবেচনা করা হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি সময় বুধবার অপরাহ্নে সেন্টার ফর স্ট্রাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে (সিএসআইএস) দেয়া ‘বৈশ্বিক পরিবেশে দুর্নীতিবিরোধী তৎপরতা: ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি শীর্ষক’ বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করতে আমাদের ইচ্ছা ও সীমিত মাত্রায় ঝুঁকি নিতে আমাদের রুচিকে ব্যাংকের প্রকল্পগুলোতে ও কার্যক্রমে দুর্নীতি সহ্য করতে আমাদের ইচ্ছা হিসেবে দেখলে চলবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রকল্পগুলো ও কার্যক্রমে দুর্নীতি উদঘাটিত হলে ব্যাংকের মধ্যে এ বিষয়ে আমাদের জিরো টলারেন্স রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ২৯১ কোটি ডলারের পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তারা অর্থায়ন স্থগিত করলে দেশের দীর্ঘতম সেতু নির্মাণের কাজ আটকে যায়। এরপর সরকারের অনুরোধে শর্তসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা জানায় সংস্থাটি।