বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় আসরে হারের বৃত্ত ভাঙতে পারছে না চিটাগং কিংস। এই আসরের পঞ্চম ম্যাচেও হেরেছে দলটি।
বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠে বরিশাল বার্নার্সের কাছে ৬ রানে হেরেছে চিটাগং কিংস।
এরআগে চলতি আসরে তাদের একমাত্র জয়টি ছিল এই বরিশালের বিপক্ষেই। এনিয়ে নিজেদের পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হারল মাহামুদুল্লাহর দল।
চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৮২ রান করে বরিশাল। জবাবে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানেই থেমে যায় চিটাগংয়ের ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৯ রানেই সাজঘরে ফিরেন রবি বোপারা (৯)। এরপর বেন্ডন টেলরের (৫১) রানের ইনিংসে ভর করে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল স্বাগতিকরা। টেন ডয়েসকেট (২৪) ভালই সঙ্গ দিয়েছিলেন টেলরকে।
দ্রুত দুই ব্যাটসম্যান আউট হলে ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে পড়ে কিংসরা। আফতাব আহমেদও (৯) আউট হন কম রানে।
কিন্তু অধিনায়ক মাহামুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল চিটাগং। মাত্র ২৪ বলে ২ ছয় ও ৩ চারের সাহায্যে ৪৫ রানে ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। ৭ বল বাকি থাকতে রিয়াদ আউট হলে ৬ রানের হার মানতে হয় তাদের।
বরিশালের পক্ষে ইলিয়াস সানি ৩টি ও আজাহার মাহমুদ ২টি উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ১১ রানেই ড্যানলি জোসেফ লিয়ামের (৫) বিদায়ে বরিশালের শুরুটা ভালো হয়নি। ১৬ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে ব্র্যাড হজও সাজঘরে ফিরলে ৪ ওভার ৩ বলেই ৩৫/২ এ পরিণত হয় বরিশাল।
তৃতীয় উইকেটে আজহার মাহমুদের সঙ্গে সাব্বির রহমানের ৬৮ রানের জুটি গত আসরের রার্নাসআপ দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেয়।
কেভন কুপারের বলে ব্রেন্ডন টেইলারের হাতে ধরা পড়ার আগে ২৭ বলে ৫টি ছক্কা ও ২টি চারের সাহায্যে ৪০ রান করেন সাব্বির। তার বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি মাহমুদও (২৯ বলে ৩৫)।
এরপর ফিল মাস্টার্ড (১৭ বলে ২৩), অলক কাপালি (২০ বলে অপরাজিত ২৯) ও কবির আলী (৭ বলে অপরাজিত ১০) রানের তিনটি ছোট্ট ইনিংসের সুবাদে দু’শর কাছাকাছি যায় বরিশালের স্কোর।
২৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে কুপার চট্টগ্রামের সেরা বোলার।
দুই দলের প্রথম দেখায় ২১ রানে জিতেছিল চট্টগ্রাম।
ছয় খেলায় চারটি হার দুটি জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বরিশাল তালিকার চার নম্বরে। আর পাঁচ খেলায় মাত্র একটিতে জিতে চট্টগ্রাম রয়েছে তলানীতে।