
বাংলার মাটিতে একটা একটা করে সব রাজাকারের কবর রচনা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রতিবাদ সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
মতিয়া বলেন, এ দেশে যতদিন পর্যন্ত একজন যুদ্ধাপরাধী বেঁচে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত তাদের বিচার চলবে। এ দেশে সকল রাজাকারের কবর রচনা করা হবে। কোনো ষড়যন্ত্র এই বিচার বন্ধ করতে পারবে না।
যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য বিএনপি-জামায়াত অনেক ষড়যন্ত্র করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যেন না হয় সেজন্য শুরু থেকেই এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার জন্য স্কাইপি হ্যাকিং থেকে শুরু করে নানামুখি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে।
‘এতকিছুর পরও বাচ্চু রাজাকারের বিচারের রায় হয়ে গেছে। এই সরকারের আমলে শুধু বাকিদের রায় নয়, রায় সম্পূর্ণ কার্যকর হবে।’- যোগ করেন এই মন্ত্রী।
বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামে কড়া সমালোচনা করেন মতিয়া চৌধুরী। বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ কি রাজনীতি ছিল না? এটা কি ডাংগুলি খেলা ছিল? তরিকুলের মুখেই এমন কথা শোভা পায়। কারণ তিনি মুক্তিযুদ্ধকে দুই কুকুরের লড়াই বলেছিলেন।’
সভায় আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ’৭১- এর মতো আবারও জামায়াত নৈরাজ্য করে তাদের হিংস্রতা প্রদর্শন করছে। আর তাই দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে হিংস্রতার জবাব দিতে হবে।
যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।