সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “খালেদা জিয়া শুধুমাত্র ক্ষমতায় আসার লোভে দেশে বিদেশীদের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।তিনি যে ভাষায় দেশের গার্মেন্টস শিল্পসহ সার্বিক অর্থনীতির ওপর চাপ প্রযোগের আহ্বান জানিয়েছেন, দেশের ওপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। তিনি দেশকে বিদেশেীদের হাতে তুলে দিতে চান।”
আমেরিকার প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন টাইমসের মতামত পাতায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের ‘গণতন্ত্র রক্ষায়’ আমেরিকাকে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। লেখাটি ৩০ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে সরকার বা দলের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “দেশ ও দেশের অর্থনীতির বিরুদ্ধে যে বা যারা অবস্থান নেবে তারা যেই হোক না কেন, দেশ ও দেশের অর্থনীতি রক্ষায় তাদের বিরুদ্ধে সময় মতো ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, “জাতিসংঘের মহাসচিবসহ বিশ্ব নেতারা যখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রশংসা করছেন তখন খালেদা জিয়া প্রধান বিরোধী দলের নেতা হয়েও শুধুমাত্র প্রতিহিংসার বশে দেশকে খাটো করতে দ্বিধা করেননি।”
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন নাহার লাইলী, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় নেতা সজিত রায় নন্দী প্রমুখ।