বৃহস্পতিবার রাজধানীতে হরতাল শেষ হওয়ার চার ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বগুড়ায় জামায়াত-শিবিরের দুই কর্মী নিহত হওয়ার খবর পেয়ে সন্ধ্যার পরপর পল্টন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মিছিল নিয়ে পল্টন মোড় থেকে বিজয়নগরের নাইটিঙ্গেল মোড়ের দিকে যেতে থাকেন। এ সময় তারা সড়কে গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালালে পুলিশ তাতে বাধা দেয় এবং লাঠিপেটা করে। এতে পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের সংঘর্ষ বেধে যায়। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার একপর্যায়ে দু-তিন রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায় এবং পাঁচটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। প্রায় আধাঘণ্টা দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পরে শিবিরকর্মীরা পালিয়ে যান।
পুলিশের সঙ্গে শিবিরকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। শিবিরের দুজন কর্মী রাবার বুলেটবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেছেন শিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত।
পুলিশের রমনা জোনের ডিসি সৈয়দ নূরুল ইসলাম জানান, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা অতর্কিত মিছিল বের করে গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।তিনি দাবি করেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। তবে তাতে পুলিশের কেউ হতাহত হয়নি।