স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশটাইমস.নেট
জামায়াত শিবিরের নৈরাজ্য প্রতিহত করতে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে আসার ঘোষণা দিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তারা এ নির্দেশ দেন।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপিতত্বে সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজউদ্দিন মিয়া, মুকুল চৌধুরী, আওলাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুব-উল আলম হানিফ নেতাকর্মীদের রাজপথে নেমে আসার আহবান জানিয়ে বলেন, ঢাকা মহানগরের সকল ওয়ার্ড ও থানার নেতাকর্মীদের রাজপথে নেমে জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের নৈরাজ্য প্রতিহত করতে হবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন হলে এ দেশে জামায়াতের রাজনীতির কবর রচনা হবে এবং বিএনপি শুন্যের কৌঠায় পৌছে যাবে মন্তব্য করে হানিফ বলেন, এই বিচার বন্ধ করতে জামায়াত শিবির রাজপথে নৈরাজ্য চালিয়ে দেশকে অচল করছে। বিএনপি পেছনে থেকে তাদের উৎসাহ দিচ্ছে।
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, জামায়াত শিবিরের নৈরাজ্যে সারা জাতি যখন নিন্দা জানাচ্ছে তখন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া জামায়াতের সাথে বসে উৎফুল্ল হয়ে বৈঠক করেছেন। দেশের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে জাতি তাদের কাছে এটা আশা করেনা।
খালেদা জিয়া জামায়াতের সাথে মিশে যুদ্ধাপরাধীদের বাচানোর চেষ্টার মাধ্যমে নিজেকেই যুদ্ধাপরাধীদের কাতারে শামিল করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় তিনি খালেদা জিয়াকে জামায়াতের সঙ্গ ছেড়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সরকারকে সহযোগিতা করার আহবান জানান।
সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেন, জামায়াত শিবিরকে নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের ও রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার অধিকার জনগণের আছে।
এ সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যাতে ধরা না পড়ে সেদিকে খেয়াল রেখে পরজীবি জামায়াত শিবিরকে সর্বাত্মক মোকাবেলা করতে হবে।
সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, আমাদের নেতা-কর্মীরা থাকতে জামায়াত-শিবির কিভাবে বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল মিটিং বের করবে। যদি কোন এলাকা থেকে মিছিল বের করে তবে ঐ সকল ওর্য়াড ও থানাকে সাংগঠনিকভাবে জবাবদিহিতা করতে হবে।
আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম বলেন, এ সরকারের আমলে আমরা কিছু যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় কার্যকর করে যেতে পারবো। কোন শক্তি এই বিচারকে রুখতে পারবেনা।