রঞ্জিত সরকার
বাংলাদেশটাইমস.নেট
মঙ্গলবার বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল-১ এ যুক্তিতর্ক গ্রহণ শেষ হয়। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ আইনি পয়েন্টে সমাপনী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে।
স্কাইপি সংলাপের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম পদত্যাগ করায় সাঈদীর মামলার বিচারকাজ নতুন করে শুরুর আবেদন করে আসামিপক্ষ।
পরে দু’পক্ষের শুনানি শেষে সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
তবে ট্রাইব্যুনালে চেয়ারম্যান বদল হওয়ার কারণে সাঈদীর মামলায় পাঁচদিন পুনরায় আর্গুমেন্ট শুনানির আদেশ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, একাত্তরে ৩ হাজারেরও বেশি নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যা বা হত্যায় সহযোগিতা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাংচুর ও ধর্মান্তরে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ২০টি ঘটনায় গতবছর ৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে সাঈদীর বিচার শুরু হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক জামায়াত নেতাদের মধ্যে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধেই সর্বপ্রথম অভিযোগ গঠন হয়।
সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় গত বছরের ৭ ডিসেম্বর। তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনসহ মোট ২৮ জন এই মামলায় সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া ১৫ সাক্ষীর জবানবন্দি ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করেন। আসামিপক্ষে ১৭ জনের সাফাই সাক্ষ্য শেষ হয় গত ২৩ অক্টোবর।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুরে হত্যা, লুণ্ঠন, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেপ্তার করা হয় সাঈদীকে। পরের বছর ১৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
সাঈদী ছাড়াও জামায়াতের সাবেক ও বর্তমান আমিরসহ শীর্ষ নেতাদের এবং বিএনপির দুই নেতার বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
এর মধ্যে এ অপরাধে সাবেক জামায়াত নেতা আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।