আজ || শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  গোপালপুরের সেনেরচর আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যতো অভিযোগ       গোপালপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত       গোপালপুরে ছাগল পালনে স্বাবলম্বী শিল্পী রাণী এবং আন্না বেগম       গোপালপুরের ঝাওয়াইলে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ       গোপালপুরে দিনব্যাপী হাজী সম্মেলন অনুষ্ঠিত       গোপালপুরে বারেক মেম্বারের মৃত্যুবার্ষিকী পালন       গোপালপুরে বিদ্যুৎপৃষ্টে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু       গোপালপুরে ওয়ার্ডমাস্টার প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার প্রদান       গোপালপুরে সরকারি জমি দখল নিতে দুই পক্ষের উত্তেজনা, সড়ক অবরোধ       গোপালপুরে নূরানী মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত    
 


যে কোনো দিন সাঈদীর রায়

রঞ্জিত সরকার 

বাংলাদেশটাইমস.নেট

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর যুক্তিতর্ক গ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন যে কোনো দিন  রায় ঘোষণা করা হবে।

মঙ্গলবার বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল-১ এ যুক্তিতর্ক গ্রহণ শেষ হয়। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ আইনি পয়েন্টে সমাপনী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে।

স্কাইপি সংলাপের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম পদত্যাগ করায় সাঈদীর মামলার বিচারকাজ নতুন করে শুরুর আবেদন করে আসামিপক্ষ।

পরে দু’পক্ষের শুনানি শেষে সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

তবে ট্রাইব্যুনালে চেয়ারম্যান বদল হওয়ার কারণে সাঈদীর মামলায় পাঁচদিন পুনরায় আর্গুমেন্ট শুনানির আদেশ দেয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী শুনানি শেষে সাংবাদদিকদের বলেন, ‘সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয়েছে যে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলেন।’
তিনি মামলার রায়ে সাঈদীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃতুদণ্ডের ব্যাপারে আশাবাদি বলে জানান।
অন্যদিকে, সাঈদীর বিরুদ্ধে আনা কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে দাবি করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এ মামলার কার্যক্রমে বিভিন্ন সময় সাঈদীর ওপর জুলুম করা হয়েছে। এতে করে ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজ প্রশ্নবিদ্ধ।’
তিনি সাঈদীর মামলায় ন্যায় বিচার পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, একাত্তরে ৩ হাজারেরও বেশি নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যা বা হত্যায় সহযোগিতা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাংচুর ও ধর্মান্তরে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ২০টি ঘটনায় গতবছর ৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে সাঈদীর বিচার শুরু হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক জামায়াত নেতাদের মধ্যে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধেই সর্বপ্রথম অভিযোগ গঠন হয়।

সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় গত বছরের ৭ ডিসেম্বর। তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনসহ মোট ২৮ জন এই মামলায় সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া ১৫ সাক্ষীর জবানবন্দি ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করেন। আসামিপক্ষে ১৭ জনের সাফাই সাক্ষ্য শেষ হয় গত ২৩ অক্টোবর।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুরে হত্যা, লুণ্ঠন, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেপ্তার করা হয় সাঈদীকে। পরের বছর ১৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।

সাঈদী ছাড়াও জামায়াতের সাবেক ও বর্তমান আমিরসহ শীর্ষ নেতাদের এবং বিএনপির দুই নেতার বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

এর মধ্যে এ অপরাধে সাবেক জামায়াত নেতা আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!