আজ || বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
শিরোনাম :
  গোপালপুরে স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম’র (SEIP) কর্মশালা       গোপালপুরে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের এ্যাডভোকেসি সভা       গোপালপুরে কয়েলের আগুনে পুড়ে মারা গেছে কৃষকের ৩ গরু       গোপালপুরে বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন ম্যাজিস্ট্রেট       গোপালপুরে বনায়নের নামে সরকারি অর্থের বৃক্ষচারা গরু-ছাগলের পেটে       গোপালপুরের অদম্য মেধাবী সামির সম্ভাবনার গল্প       গোপালপুরে গর্ভবতী গাভী জবাই করে গোস্ত নিয়ে রেখে গেছে মৃত বাছুর       গোপালপুরে ৫২তম জাতীয় সমবায় দিবস পালন       গোপালপুরে বিলুপ্তপ্রায় হেমনগরের গোয়ালবাড়ি খাল       গোপালপুরে যমুনার চরাঞ্চল ঘিরে সম্ভাবনার দুয়ার    
 


সুরঞ্জিতকে সতর্ক করলো ট্রাইব্যুনাল

undefined

 আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করায় আদালত অবমাননায় দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্তকে নিঃশর্ত ক্ষমা করে দিয়েছেন। একই সঙ্গে  ট্রাইব্যুনাল এ ধরনের মন্তব্য করায় তাকে সতর্ক করে দেন।
মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনাল তার আদেশে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের একজন বিজ্ঞ নেতার কাছ থেকে বিচারাধীন বিষয়ে এ ধরনের বক্তব্য আশা করা যায় না। তাদের কাছ থেকে এসব কথা গ্রহণযোগ্য নয়।
বাক স্বাধীনতা মানে এই নয় যে ইচ্ছামতো সাবজুডিস বিষয়ে বক্তব্য দেবেন।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, একজন ব্যক্তির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে অপরাধী বলা যায় না। রায় না হওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে  অপরাধী সাব্যস্ত করে কেউ এমন মন্তব্য করতে পারেন না।
এরপর আদালত তার বিরুদ্ধে আনা অবমাননার অভিযোগটি নিষ্পত্তি করে দেন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার এ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি সুরঞ্জিতের পক্ষে তার আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার ক্ষমা প্রার্থনা করে লিখিত জবাব দেন।
গত ২৪ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল-২ তার বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন এবং উক্ত বিচারিক বিষয়ে মন্তব্য করার কারণ ব্যখ্যা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
উল্লেখ্য গত ২২ ডিসেম্বর রাজধানীতে ১৪ দলের উদ্যোগে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই গণ মিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি ট্রাইব্যুনালের বিচারিক বিষয়ে মন্তব্য করেন।
সুরঞ্জিত তার বক্তৃতায় বলেন, এখন ২০১২ সাল। আগামী বছর ২০১৩ সাল। ১৪ জন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। ২০১৩ সালের যে কোনো সময়ে রায়ে এই চিহ্নিত ১৪ যুদ্ধাপরাধীর বিচার শেষ হবে। তাদের ফাঁসির রায়ও কার্যকর করা হবে। কেউ ঠেকাতে পারবে না।
ট্রাইব্যুনাল তার আদেশে বলেন, সুরঞ্জিত সেনের বক্তব্য স্বাধীন ট্রাইাব্যুনালের জন্য অমর্যাদাকর। সে কিভাবে কিসের ওপর ভিত্তি করে এই মন্তব্য করেছেন। এই বিষয়ে ব্যাখা করতে হবে।
মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!