পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার দাবি করেছেন, শিবিরের সোমবারের অরাজকতার ব্যাপারে পুলিশের কাছে আগাম তথ্য ছিল। তথ্যথাকার পরও পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিল না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের কোনোসদুত্তর দিতে পারেননি আইজিপি। ইসলামী ছাত্রশিবিরের সূত্রগুলো বলছে, তাদের আর পেছনে ফেরার উপায় নেই। অস্তিত্ব রক্ষায় তাদের এ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।সরকারের ভেতরে প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশ কেন বারবার শিবিরকে মোকাবেলায়ব্যর্থ হচ্ছে। আরো প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশ কি অদক্ষ, নাকি উদাসীন। তবেঅর্থমন্ত্রী কথাতেই একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে, সরকারের গোয়েন্দা বিভাগদুর্বল, অথবা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারছে না। নাকি ভূমিকা রাখছে না- এমনপ্রান্তিক প্রশ্নও উঠেছে সরকারি মহলেই।এদিকে, পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলেও এই নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে বলে জানিয়েছে এইআইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র।সোমবার সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে একযোগে মতিঝিল, রমনা, লালবাগ ওতেজগাঁও এলাকায় জামায়াত-শিবির কর্মীদের ঝটিকা হামলায় পুলিশের ২১ সদস্য আহতহন। আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি পুলিশ সদস্যদের ভর্ৎসনা করেছেন।বলেছেন, “তোমরা কেন গুলি করোনি?”
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।ভাঙচুর ও আগুন দেয়ার সময় ঘটনাস্থল হতে পুলিশ ৫৫ জন জামায়াত-শিবির কর্মীকেআটক করেছে বলে জানিয়েছে মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগ।মতিঝিল থানা পুলিশ জানায়, ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট, একটি টিয়ার সেল ও শর্টগানের ১৬ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে পুলিশ।