জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।গোটা বিষয়টিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকায় তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সূত্র জানায়, সোমবার বিকালে তিনি সচিবালয়ে নিজ দফতরে একজন মন্ত্রী ও সিনিয়র কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। ওই বৈঠক থেকে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সূত্র আরো জানায়, প্রধানমন্ত্রী সকালে যখন মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক করছিলেন তখনই তিনি ককটেল ও বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনছিলেন। তখন একজন মন্ত্রী বলে ওঠেন, ‘আবার কি আগুন লেগেছে।’ এই সময় খবর আসে জামায়াত-শিবির পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। এবং ঘটনাটি ঘটছে সচিবালয়ের সামনে।
মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকের পর বিকেলে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বৈঠকে বসেন।সূত্র জানায়, ওই বৈঠকে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুখ্যসচিব শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, ক্যাবিনেট সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, স্বরাষ্ট্রসচিব সহ আরো কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনী স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স‘র (এসএসএফ) কর্মকর্তা ও র্যাবের মহাপরিচালক ডেকে পাঠানো হয়। সূত্র জানায়, তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী যেখানে উপস্থিত আছেন তখন কেন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কেন অতিরিক্ত ফোর্স রাখা হয়নি?
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কেন আগে খবর জানা হয়নি প্রধানমন্ত্রী তা জানতে চান। এসব ঘটনায় কে, কারা, কিভাবে জড়িত তা কেন খুঁজে বের করা হয়নি-তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর আগেও সচিবালয়ে অঘটন ঘটেছে। সেসব ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাও জানতে জানতে প্রধানমন্ত্রী।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কেউ কেউ বড় বড় কথা বলে, কিন্তু কোনো নিরাপত্তা নেই।