বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাজরীনের মালিককে গ্রেফতার করছে না উল্লেখ করে তেল গ্যাস রক্ষা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহম্মদ বলেছেন, সাগর রুনির হত্যাকারীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে বলছেন তাড়াতাড়ি আটক করা যাবে না, ঘটছে বিশ্বজিতের মতো হত্যাকাণ্ড। কারাগার থেকে নিরাপদে বের হয়ে যাচ্ছে খুনিরা। তার মানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব যেন খুনিদের সেভ করা। গতকাল সোমবার দুপুরে বিজিএমইএর সামনে শ্রমিক সংগঠন ও সিপিবি-বাসদের অবস্থান ধর্মঘট চলাকালে এসব কথা বলেন তিনি। আনু মুহম্মদ বলেন, এই অবস্থান ধর্মঘট প্রমাণ করছে যে বাংলাদেশটি শুধু মুনাফালোটা মালিক বা সরকারের জন্য যেনো না হয়। শ্রমিকদের যে পরিমাণ কাজ করার কথা তার চেয়ে তারা ২/৩ গুণ কাজ করে। মালিকদের এমন বর্বর অবস্থা চলতে পারেনা। যদি এমন লুণ্ঠন অব্যাহত রাখেন তাহলে তারা যেখানেই যান সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে। তেল গ্যাস রক্ষা কমিটির সদস্যসচিব আরো বলেন, তাজরীনের মালিককে গ্রেফতার করে লাভ নেই এমন কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্মার্ট গার্মেন্ট সদস্য না বলে বিজিএমইএ দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে চাইলে শ্রমিকরা তাদের ছেড়ে দেবেনা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এক্ষেত্রে দায়ী। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্টদের বলুন মুনাফা কমাতে। মালিক ও উদ্যোক্তাদের বলি শ্রমিকদের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে মুনাফা না করার জন্য। আর এটি করতে গেলে গার্মেন্ট খাতের বিশৃ�খলা দেশকেই বিপদের সম্মুখীন করবে।
অবস্থান ধর্মঘটে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, শেখ হাসিনাকে বলতে চাই যে বিএনপি সরকার যেমন জজ মিয়া নাটক করে দায়িত্ব থেকে পার পেতে চেয়েছে। তেমনি আপনি সুমী নাটক করে তাজরীনের গার্মেন্ট মালিককে রক্ষা করতে চেয়েছেন। আজ এই সুমি কোথায়। কোথায় গেল সুমীর বিচার। এভাবে নাটক সাজিয়ে কোনো লাভ নেই। এই বিচার নস্যাৎ করতে চেয়ে লাভ নেই। সংগ্রাম কি এবার তারা দেখবেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মাহমুদূর রহমান ইসমাইল বলেন, দাবি আদায়ে যা যা করার দরকার আমরা করব। মালিকরা যদি ভাবেন যে তারা বিচার থেকে পার পেয়ে যাবেন তাহলে ভুল করছেন। খুনিদের গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত আন্দোলন করে যাব। সরকার গার্মেন্ট মালিকদের সেভ করছে। তাদের বিচার করছে না। যদি ৩০ তারিখের মধ্যে তাজরীন ও স্মার্ট গার্মেন্টের মালিককে গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলনে যাব। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রুহুল আমীন জানান, ৩০ জানুয়ারি মধ্যে স্মার্ট ও তাজরীন ফ্যাশনের মালিক গ্রেফতার না হলে ৩১ জানুয়ারি শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে। গার্মেন্ট শ্রমিক ঐক্য ফোরামের কেন্দ্রীয় শহিদুল ইসলাম সবুজ বলেন, গেট বন্ধ করে কারখানাগুলোকে মৃত্যুকুপে পরিণত করা হয়।এমন ঘটনা বারবার হচ্ছে। এমন আর চলতে দেওয়া হবে না। মালিকদের সতর্ক করতে চাই, শ্রমিক হত্যা বন্ধ করেন। নয়তো আমরা কঠিন কর্মসূচি নিতে বাঁধ্য হবো