আজ || রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম :
  টাঙ্গাইলে পরম আদরে লালনপালন বন্য সজারু       শতাব্দি পেরনো স্বর্ণজয়ী মানুষ ‘প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন’       অবশেষে গোপালপুরে বিরল রোগে আক্রান্ত পরিবার সুচিকিৎসা পাচ্ছেন       গোপালপুর-ভূঞাপুর যমুনা চরাঞ্চল এখন মাদক আর দুস্কৃতকারিদের অভয়ারণ্য       গোপালপুরে কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করতে কৃষক সমাবেশ       খোরশেদুজ্জামান মন্টুকে এলাকাবাসি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চান       গোপালপুর উপজেলা পরিষদ স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা       গোপালপুরে কুরতুবী মাদ্রাসার উদ্ধোধন       সালাম পিন্টুর মুক্তির আনন্দে গোপালপুরে মোটরসাইকেল র‍্যালি       গোপালপুরে জাসাস এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত    
 


ভেতরে জেএসসি পরীক্ষা বাইরে শিল্পমেলা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে চলছে শিল্পমেলা। আর ভেতরে চলছে জেএসসি পরীক্ষা। একই সঙ্গে মেলা ও পরীক্ষা চালানোয় কোমলমতি পরীক্ষার্থীদের মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০ অক্টোবর থেকে গোবিন্দগঞ্জ ক্রীড়া সংস্থার নামে বিদ্যালয় মাঠে শিল্পমেলা চালানো হচ্ছে। মেলায় বিভিন্ন পণ্যের স্টল ছাড়াও খেলাধুলার জন্য নাগরদোলা, ট্রেন, স্লিপারসহ বিভিন্ন রাইডার স্থাপন করা হয়েছে। অথচ ৪ নভেম্বর থেকে বিদ্যালয়ে জেএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন জেএসসি পরীক্ষার্থী জানায়, মাঠে মেলা থাকায় ঘুরে ঘুরে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে হয়। এতে অনেক পরীক্ষার্থী বিব্রতবোধ করছে। এ ছাড়া মেলায় আসা মানুষের হইচই কানে ভেসে আসছে। ফলে প্রশ্নের উত্তর লিখতে ভুল হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, মেলা শিশু পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। পরীক্ষার আগে ও পরে অনেক পরীক্ষার্থী মেলায় ঘোরাফেরা করে। ফলে বাড়ি থেকে পড়ে আসা প্রশ্নের উত্তর মনে রাখতে পারছে না অনেকে। পাশাপাশি মাঠে খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মতিন মোল্লা বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি। তিনি প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয় মাঠে শিল্পমেলার আয়োজন করেছেন। ক্রীড়া সংস্থার নামে মেলা চালানো হলেও এর পেছনে রয়েছে মেলা-বাণিজ্য। তাঁর প্রভাবে প্রশাসন অসহায়।
গোবিন্দগঞ্জ পান্তাপাড়া এলাকার অভিভাবক বাদশা মিয়া বলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রের ৪০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকে। কিন্তু পরীক্ষার সময় মেলার কার্যক্রম চলছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনা সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। এতে পরীক্ষার্থীদের মনোযোগও নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ বি এম কামরুল হুদা বলেন, পরীক্ষা চলাকালে মেলার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু মাঠের দোকানপাট শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রভাব ফেলছে। বিদ্যালয় মাঠে মেলা না করার চেষ্টা করেও কোনো কাজ হয়নি।
অধ্যক্ষ আবুল কালাম প্রভাব খাটানো ও মেলা-বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য পরীক্ষা চলাকালে মেলার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুজ্জামান বলেন, মেলার কারণে শিক্ষার্থীদের কোনো সদস্যা হচ্ছে না। কারণ, পরীক্ষা চলাকালে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকে। [খবর প্রথম আলো ]

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!