তিনি বলেন, ‘সংসদ কার্যকর থাকলেই গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা সুসংহত হয়। সংসদকে কার্যকর করার ক্ষেত্রে সরকারি-বিরোধী দলের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ।’
রোববার বিকালে সংসদের ১৬তম অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার এ আহ্বান জানান।
বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে স্পিকারের সভাপতিত্বে বিকাল সাড়ে ৩টায় সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর আগামী ৩০ জানুয়ারি বুধবার বিকাল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করা হয়।
এরআগে কার্যউপদেষ্টা কমিটির সভায় অধিবেশন আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
অধিবেশনে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. ইয়াজ উদ্দিনসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ইন্তেকালে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়। তারআগে এক মিনিট নিরবতা ও দোয়া করা হয়।
স্পিকার তাঁর উদ্বোধনী ভাষণের শুরুতে বর্তমান সংসদ চার বছর পূর্ণ করায় সংসদ সদস্য এবং তাঁদের মাধ্যমে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
সেনা সমর্থিত বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বর একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে বর্তমান সংসদের যাত্রা শুরু হয়। তাই এ সংসদের কাছে জনগণের প্রত্যাশাও বেশি।’
আবদুল হামিদ বলেন, ‘সংসদ সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণই একটি সংসদকে নিয়ে যেতে পারে সাফল্যের চূড়ায়। বিগত দিনে সংসদ কতটুকু কার্যকর ছিল বা কতটুকু সফলভাবে পরিচালিত হয়েছে তার মূল্যায়ন করবেন আপনারা এবং দেশের আপামর জনগণ।’
বিগত দিনে তাঁকে সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্য এমপিদের ধন্যবাদ জানান স্পিকার। একই সঙ্গে আগামী দিনেও এই সহযোগিতা ও পরামর্শ অব্যাহত রাখলে সংসদকে দেশ ও জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের কেন্দ্রস্থলে পরিণত করার কথা তিনি উল্লেখ করেন।
স্পিকার আরও বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে এসে জনগণের কথা বলা সংসদ সদস্যদের পবিত্র দায়িত্ব। তাই আমি আশা করব সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা জনপ্রত্যাশা পূরণে এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে অব্যাহত প্রয়াস চালাবেন। সে প্রত্যাশা পূরণের লক্ষে আমি প্রধান বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদেরকে অধিবেশনে যোগ দেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি ও দলমত নির্বিশেষে আমরা সবাই দেশ ও জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। তাই আমি সরকারি ও বিরোধী দল নির্বিশেষে সকল সংসদ সদস্যকে সংসদে এসে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, চলতি অধিবেশনেও যোগ দিয়নি প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের এমপিরা। তারা স্পিকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একই সঙ্গে চলমান সংকট নিরসনে স্পিকারকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ বলেছেন, তাঁর পক্ষে সংসদের বাইরে কোনো কিছুই করা সম্ভব নয়। বিরোধী দল সংসদে এলে তিনি এ নিয়ে ভূমিকা রাখতে পারবেন।