সম্প্রতি তাইওয়ানের গবেষকদের পরিচালিত এক গবেষণায় এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছ। গবেষণা প্রতিবেদনটি জামা ইন্টারনাল মেডিসিন সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
তাইওয়ানি গবেষকরা এ গবেষণার জন্য গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের দুই দলে ভাগ করে তাদের গরম নুডুলস স্যুপ খেতে দেন। এসময় এক দলের অংশগ্রহণকারীদের মেলামাইনের পাত্রে খেতে দেয়া হয় এবং অপর দলের অংশগ্রহণকারীদের সিরামিকের পাত্রে স্যুপ খেতে দেয়া হয়।
অংশগ্রহণকারীদের স্যুপ খাওয়ার আগেই একবার তাদের মূত্রের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর খাওয়ার পরবর্তী ১২ ঘণ্টায় ৬ বার (দুই ঘণ্টা পর পর) আবার তাদের মূত্রের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
তিন সপ্তাহ পর, ওই একই ব্যক্তিদের আবার নুডুলস স্যুপ খেতে দেয়া হয় তবে এবার তাদের পাত্র পরিবর্তন করে দেয়া হয়। এবং খাওয়ার পর আবার তাদের মূত্রের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এতে দেখা যায়, মেলামাইনের পাত্রে স্যুপ খাওয়ার পর ১২ ঘণ্টায় মূত্রে মেলামাইনের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। যারা মেলামাইনের পাত্রে স্যুপ খেয়েছেন তাদের মূত্রে মেলামাইনের মাত্রা ধরা পড়ে ৮ দশমিক ৩৫ মাইক্রোগ্রাম। কিন্তু যখন পাত্র বদল করে সিরামিকের পাত্রে স্যুপ খেয়েছে তখন তাদের মূত্রের মেলামাইনের মাত্রা কমে এক দশমিক তিন মাইক্রোগ্রামে নেমে যায়।
এ গবেষণার প্রধান তাইওয়ানের কাউসিউং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক চিয়া ফাং উ বলেন, ‘মেলামাইনের পাত্রে গরম খাবার পরিবেশন করা হলে মেলামাইন পাত্র থেকে খাবারের সঙ্গে মিশে যায়। ফলে গরম খাবার কিংবা বেশি অ্যাসিডিক খাবার মেলামাইনের পাত্রে মিশে খাবারকে দূষিত করে যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশেষ করে মেলামাইনের পাত্র পুরনো গেলে তা আরও ভয়ানক স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হয়।’