গত বছর মিশরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২১ জনকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার ঘটনায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশটির পোর্ট সাইদ শহর।
শনিবার ওই রায় ঘোষণার পর দাঙ্গায় দু’জন পুলিশ কর্মকর্তা ও দু’জন ফুটবল খেলোয়াড়সহ এ পর্যন্ত অন্তত ৩২ জন নিহত এবং ৩০০ ও বেশি লোক আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে শহরের হাসপাতালগুলো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে শহরে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিশরের পোর্ট সাইদ ক্লাব এবং কায়রোর আল আহলি ফুটবল দলের মধ্যকার খেলা নিয়ে ঐ সংঘর্ষে ৭৪ জন ব্যাক্তি মারা গিয়েছিল। মিসরের ফুটবল ইতিহাসের জঘন্যতম ঐ সংঘর্ষ বন্ধে পুলিশের অপ্রতুল পদক্ষেপ নিয়ে সেসময় ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল।
শনিবার সেই রক্তাক্ত সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে আদালত ২১ জনকে মৃত্যুদন্ড দিলে পোর্ট সাইদ শহরে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়। কায়রো আদালতে চাঞ্চল্যকর ঐ মামলার রায় ঘোষণার পর নিহতদের আত্মীয়রা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সবাই পোর্ট সাইদ ক্লাব আল মাসরির সমর্থক। শনিবার রায় শোনার পর তাদের সমর্থক বিক্ষোভকারীরা পুলিশ স্টেশনে এবং জেলখানায় হামলা চালায়। জেলখানার বাইরে দু’জন পুলিশ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা শহরের নিরাপত্তা ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
নিহতদের মধ্যে আল মাসরির গোলকিপার তামির আল-ফালাহ এবং মুহাম্মদ আল-দাদহাওয়ি নামে দু’জন ফুটবল খেলোয়াড়ও রয়েছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা মেনা।
এর আগের দিন, মিসরে মোবারক পতনের দুই বছর পূর্তিতে দেশটির বিভিন্ন স্থানে র্যালি ও সমাবেশ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সরকারবিরোধীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ঐ সংঘর্ষে ১০ জন নিহত এবং চার শতাধিক মানুষ আহত হয়।।
মিসরের প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান মোহাম্মদ মুরসি এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্র : বিবিসি ও আল জাজিরা