চট্টগ্রাম পর্বে বিপিএলের খেলা চলবে ২৮ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন দুটি করে খেলা হবে এবারের আসরের তৃতীয় ভেন্যু চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে।
ঢাকায় তিন দিনে ছয়, আর খুলনায় চার দিনে আট ম্যাচের হিসাব চট্টগ্রামে বেশ ভালোভাবেই প্রভাব ফেলবে। খুলনার পর এবার স্বাগতিক চিটাগং কিংস। তাদের বিপক্ষে পয়েন্টে শীর্ষে থাকা সিলেট রয়্যালসের ম্যাচ দিয়ে কাল পর্দা উঠবে বিপিএলের এই ভেন্যুর। পয়েন্ট টেবিল এককভাবে শীর্ষে থেকেই খুলনা থেকে চট্টগ্রামে পা রেখেছে সিলেট রয়্যালস।
খুলনার ভেন্যুতে শুরুতে বিপিএলের আমেজ বলতে কিছুই ছিল না। ছিল না মাঠে দর্শক। তবে শেষ দুই দিনে দর্শকভর্তি গ্যালারি দেখেছে ক্রিকেটাঙ্গন। আর বন্দরনগরীর মেয়রের ১০ লাখ টাকার টিকেট কেনার খবরে বিপিএলে দর্শক-খরার মধ্যে কিছুটা হলেও ঠান্ডা বাতাস বইয়ে দিয়েছে। এই দর্শকদের সামনেই পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে যাওয়ার লড়াইটা জমবে বলে ক্রীড়ামোদীদের প্রত্যাশা।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে শুক্রবার শেষ ম্যাচে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে ৮ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান এখন এককভাবে সিলেটের (৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট) দখলে। একই দিন রংপুর রাইডার্সকে ৯ রানে হারিয়ে জয় দিয়েই ঘরের মাঠের পর্ব শেষ করেছে স্বাগতিক খুলনা। এক হারে সমানসংখ্যক ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সিলেটের নিচে আছে ঢাকা। এরপর যথাক্রমে খুলনা, রংপুর, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও রাজশাহী।
ব্যাট হাতে বিপিএলের দ্বিতীয় আসর মাতিয়ে চলেছেন বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা। এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে ২১২ রান নিয়ে শীর্ষে আছেন রংপুরের নাসির হোসেন। তার পরপরই রয়েছেন প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করা খুলনার অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফীস (৫ ম্যাচে ২০৯ রান)। পরের দুটি অবস্থানে দুই অস্ট্রেলিয়ান রিকি ওয়েসেলস (১৫০) ও ব্রাড হজ (১৪৫)। ৪ ম্যাচে ১৪২ রান নিয়ে পাঁচে রয়েছেন ঢাকার মোহাম্মদ আশরাফুল।
আর বল হাতে ৬ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি (সিলেট) ও শাপুর জার্দান (খুলনা) এবং জিম্বাবুয়ের এলটন চিগুম্বুরা (সিলেট) রয়েছেন সেরা তিনে। ৬ উইকেট নিয়ে এরপর রংপুরের অধিনায়ক আবদুর রাজ্জাক এবং ৫ উইকেট নিয়ে পাঁচে আছেন ইংল্যান্ডের দিমিত্রি মাসকেরানহাস (রংপুর)।
সবকিছু মিলিয়ে চট্টগ্রাম মিশনেই পরিষ্কার একটা ধারণা পাওয়া যাবে শেষ পর্যন্ত কোন চার দল সেমিফাইনালের টিকেট পাবে। যদিও এখনো বিপিএলে প্রতিটি দলের সাতটি করে ম্যাচ বাকি, তবু চট্টগ্রামের ম্যাচগুলোতে যে দলগুলো জয় নিয়ে পয়েন্টে এগিয়ে যাবে, তারাই ঢাকায় বাকি ম্যাচগুলোতে সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে বাড়তি সুবিধা পাবে। এখন অপেক্ষা চট্টগ্রাম মিশন দেখার।