জনগণের টাকায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “আপনারা জনগণের রাজস্বের টাকায় প্রাক নির্বাচনী জনসভা চালাচ্ছেন তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সত্য উপলব্ধি করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। অন্যথায় গণঅভুত্থানের মাধ্যমে একদলীয় নির্বাচনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।”
শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, ফজলুল হক মিলন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিরিন সুলতানা, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল।
জোট নেতাদের মধ্যে জামায়াতের হামিদুর রহমান আজাদ এমপি, সেলিম উদ্দিন, ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামী, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এনডিপির সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, খেলাফত মজলিশের মুফতি ওয়াক্কাস, এনপিপির সভাপতি শেখ শওকত হোসেন নিলু, ইসলামিক পার্টির সভাপতি আবদুল মুবিন, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি বাংলাদেশ ন্যাপের গোলাম মোস্তফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তরিকুল অভিযোগ করে বলেন, “আওয়ামী লীগ বাকশালের মতো আবারো একদলীয় নির্বাচন দিয়ে রোজ কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চায়।”
তিনি বলেন, “৭৫সালে সংসদে মাত্র ১১ মিনিটে ১৪টি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হয়, চারটি ছাড়া সব পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়। বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়। ভোটের অধিকার হরণ করা হয়। কিন্তু সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে সে একদলীয় শাসনের অবসান ঘটে।”
যতই ষড়যন্ত্র করা হোক তা সফল হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তরিকুল আরো বলেন, “যিনি গণতন্ত্রের পক্ষে বলছেন, তিনি খারাপ হয়ে যাচ্ছেন। সরকারে বিরুদ্ধে কথা বলায় সাংবাদিক এবিএম মুসাকে তারা বলছেন উন্মাদ, কাদের সিদ্দিকীকে বলছেন রাজাকার। ড. কামাল হোসেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও আকবর আলি খানকে বলছেন খারাপ লোক। তাদের পক্ষে বললে মুক্তিযোদ্ধা, আর বিপক্ষে বললে রাজাকার।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের সালফিউরিক এসিডের ছিটা দিলে রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায়। আমরা সরকারকে বলবো এ ছিটা দেয়া বন্ধ করুন।”
জনপ্রিয়তা যাচাই করতে সরকারকে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সময় থাকতে দেশকে অরাজকতার হাত থেকে রক্ষার করুন এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।অন্যথায় গণঅভুত্থানের মাধ্যমে এ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।