চলতি বছরের জুনের আগে হচ্ছে না থ্রি’জির নিলাম। তবে নিলামের প্রস্তুতি চলছে। থ্রিজি লাইসেন্স সংক্রান্ত গাইডলাইন চূড়ান্ত হলেই নিলামসহ এ সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস।
সুনীলকান্তি বলেন, “ব্যবসায় বান্ধব করতে গাইড লাইন নিয়ে কাজ চলছে। তবে সবকিছু চূড়ান্ত করতে আরো চার মাস সময় লাগবে বলে মনে হচ্ছে। আশা করছি জুন বা জুলাই মাসে থ্রিজি’র নিলাম কাজ শুরু করা যাবে।”
তিনি আরও জানান, মোবাইল ফোনে অনাকাঙ্ক্ষিত বার্তা পাঠানো বন্ধ করতে ইতোমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছে বিটিআরসি। মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে বার্তা প্রদানকারীর নম্বরে হুঁশিয়ারি বার্তা পাঠানো হচ্ছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, অপটিক্যাল ফাইবার নির্মিত দেশের ইন্টারনেট অবকাঠামো ও নিজস্ব স্যাটেলাইট প্রয়োজন। ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি বাড়াতে হবে এবং তা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ আমাদের দেশে ব্রডব্যান্ডের নামে যে সেবা দেয়া হচ্ছে তা আন্তর্জাতিকমানের নয়।”
এদিকে আদালতের বাইরেই টু জি লাইসেন্স নবায়নের স্পেকট্রাম ফি’র সঙ্গে ভ্যাট পরিশোধ সমস্যার সমাধান না হলে থ্রি-জিতে অংশ না দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। তবে নীতিমালা প্রকাশের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি টেলিনর গ্রুপের এশিয়া অঞ্চলের প্রধান এবং টেলিনর গ্রুপের এক্সিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সিগভে ব্রেককি।
তবে নীতিমালার জন্য বসে নেই রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক। ঢাকার পর ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেটে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের থ্রিজি সেবা যাচ্ছে। এই তিন জেলায় তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) সেবা দিতে টেলিটকের প্রস্তুতি এগিয়ে চলেছে।
প্রাথমিকভাবে বড় শহরের গ্রাহকদের থ্রিজি সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে টেলিটক। এরই অংশ হিসেবে ঢাকার পর চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সাবাজারকে থ্রিজির আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান।