সকাল ৮টায় আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের উদ্যোগে নগরীর ষোলশহরস্থ জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ শরীফ থেকে বের হয় জশনে জুলুস-এ ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) শোভাযাত্রা।
জুলুস-এ নেতৃত্ব দেন আওলাদে রাসূল, পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ (ম.জি.আ)।
জুলুসটি নগরীর ষোলশহরস্থ আলমগীর খানকাহ শরীফ থেকে শুরু হয়ে মুরাদপুর, প্যারেড ময়দানের উত্তর পার্শ্বস্থ সিরাজদ্দৌল্লাহ রোড, আন্দরকিল্লা, মোমিন রোড, চেরাগী পাহাড়, জামালখান হয়ে জিইসি, ষোলশহর ২নং গেইট, আবার মুরাদপুর হয়ে দুপুর ১২টায় জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া ময়দানে গিয়ে ওয়াজ, মিলাদ, কেয়াম ও আখেরী মুনাজাত এবং জুমার নামাজ আদায়ের পর জশনে জুলুস-এ ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.)’র আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের সমাপ্ত হয়।
জশনে জুলুছের শোভাযাত্রায় লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশ গ্রহন করেন।
চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা জশনে জুলুস ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) শোভযাত্রাটি ১৯৭৪ সালে আওলাদে রাসুল,গাউসে জামান আল্লামা হাফেজ কারী সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রহ.) প্রথম শুরু করেন। সেই থেকে জশনে জুলুসটি এখনও মুসলমানদের ঐক্যের বন্ধন হিসেবে চালু রয়েছে।
জুলুসটি এখন পৃথিবীর বৃহত্তম ধর্মীয় র্যালীতে পরিণত হয়েছে এবং চট্টগ্রামের মানুষ জসনে জুলুসকে তাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছে।
এদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আয়োজনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে কে.বি আব্দুল সাত্তার মিলনায়তনে খতমে কোরআন, মিলাদ-মাহফিল হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন চসিক মেয়র এম মনজুর আলম।
উল্লেখ করা যেতে পারে, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, মিশর, ইন্দোনেশিয়াসহ অনেকগুলো ঐতিহ্যবাহি মুসলিম দেশেই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এবং সরকার প্রধানের নেতৃত্বে জশনে জুলুস-এ-ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) পালন করা হয় কিন্তু বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) জশনে জুলুস আয়োজন করা হয়না।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দাবি অন্যান্য জাতীয় ও ধর্মীয় দিবসের মতো ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) পালন দিবসে জেলখানায় কয়েদিদের এবং সরকারি সকল হাসপাতাল ও এতিমখানাসহ সম্ভাব্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিশেষ খাবার প্রদান, সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের সদাচরণের কারণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগাম মুক্তি এবং রেডিও, টেলিভিশন ও পত্র-পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্রসহ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হোক। এ ব্যাপারে সরকারের বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন।