বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মো. আবদুল জব্বার বলেছেন, “ছাত্রসমাজ আওয়ামী সরকারের অপশাসনে বাধ্য হয়ে রাজপথে আন্দোলন শুরু করেছে। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের সব জুলুমের জবাব দিতে ছাত্রসমাজ প্রস্তুত।”
শুক্রবার ছাত্রশিবির প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার থানা দায়িত্বশীল শিক্ষা বৈঠকে শিবির সেক্রেটারি এ কথা বলেন। সংগঠনটির পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। তবে বৈঠকটি কোথায় অনুষ্ঠিত হয় তা ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
শিবির সেক্রেটারি বলেন, “সরকার ছাত্রশিবিরের ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালাচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক সমাজে নজিরবিহীন। সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রের সব শক্তিকে ছাত্রশিবির দমনে ব্যয় করছে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে তারা শিবিরকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। সরকারের বোঝা উচিত, ছাত্রশিবির দেশের লাখো-কোটি ছাত্রের প্রাণপ্রিয় সংগঠন। শিবিরের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, হামলা, মামলা, নির্যাতন করে এই আদর্শিক সংগঠনকে দমানো যাবে না। আমরা যে আদর্শকে ধারণ করে পথ চলছি তা থেকে আমাদের কোনোভাবেই বিচ্যুত করা যাবে না।”
তিনি বলেন, “সরকারের নির্যাতন ছাত্রশিবির কর্মীদের আদর্শিক চেতনাকে বরং আরো শক্তিশালী করেছে। ছাত্রসমাজ আজ স্বতস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসছে। শিবিরের প্রতিটি কর্মসূচিতে বিক্ষুব্ধ জনতার ঢল নামছে। ছাত্রশিবির দমনে সরকারের অতি কঠোর অবস্থান সত্ত্বেও ছাত্রসমাজ রাজপথে নেমে ছাত্রশিবিরের জনপ্রিয়তাকেই প্রমাণিত করেছে।”
শাখা সভাপতি রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুজাহিদুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিবিরের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি সালাহউদ্দিন আইয়ুবী, ঢাকা মহানগরী পূর্ব সেক্রেটারি রেজাউল হক রিয়াজ ও ঢাকা কলেজ সেক্রেটারি নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
ইয়াহইয়াকে গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির না করার প্রতিবাদ
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ মো. ইয়াহইয়াকে গ্রেফতার ও গ্রেফতারের পর নিয়মানুযায়ী আদালতে হাজির না করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. দেলাওয়ার হোসেন ও সেক্রেটারি জেনারেল মো. আবদুল জব্বার বলেন, “শিবির নেতা আবু সালেহ মো. ইয়াহইয়াকে যে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পর গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার তাকে নিয়মানুযায়ী আদালতে তোলার কথা থাকলেও পুলিশ তা করেনি। আইন-শৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনী এভাবে নিয়ম লঙ্ঘন করে বাংলাদেশে ধারাবাহিক মানবাধিকার লঙ্ঘন, ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে চলমান রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকেই প্রমাণিত করেছে।”
তারা বলেন, “আমরা আশঙ্কা করছি, ইয়াহইয়াকে ডিবি কার্যালয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। ইতিপূর্বে অনেকবার শিবির নেতাদের গ্রেফতার করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। শিবির নেতা ইয়াহইয়াকে গ্রেফতারের কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা কারণ নেই। শুধু শিবিরের কার্যক্রমকে দমানোর উদ্দেশ্যেই এভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” সূত্র: বিজ্ঞপ্তি