কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে সিরিয়ার সরকারবিরোধী বিভিন্ন গোষ্ঠী একটি ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক জোট গঠনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তারা একজন মধ্যপন্থী ধর্মীয় নেতাকে তাদের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেছে।
নতুন জোটটি পশ্চিমা দেশগুলো এবং তাদের ফ্রেন্ডস অফ সিরিয়ার অন্তর্ভুক্ত আঞ্চলিক মিত্রদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাবে।
নতুন এ ঐক্যবদ্ধ জোটের প্রেসিডেন্ট হিসেবে যার নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তিনি হচ্ছেন মধ্যপন্থী ধর্মীয় নেতা আহমেদ মোয়াজ আল খতিব। তিনি মাত্র তিনমাস আগে দামেস্ক থেকে পালিয়ে এসেছেন।
সম্মেলন থেকে দুজন ভাইস প্রেসিডেন্টের নামও ঘোষণা করা হয়েছে। এদের একজন রিয়াদ সেইফ, যিনি একটি ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের জন্য প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তার এই উদ্যোগকে পশ্চিমা সরকারগুলোও দৃঢ়ভাবে সমর্থন জানিয়েছিল। আর এখন এ উদ্যোগটি বাস্তবতায় পরিণত হচ্ছে।
অপর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শ্রদ্ধেয় এবং ধর্মনিরেপক্ষ মহিলা কর্মী হিসেবে পরিচিত সুহাইর আল আতাসির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এটি বেশ ভারসাম্যপূর্ণ একটি নেতৃত্ব যারা আগামী দিনগুলো সিরিয়ার বিরোধীপক্ষের কণ্ঠ হিসেবে কাজ করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও অঙ্গীকার করেছে যে, তারা এই জোটকে সিরিয় জনগণের একমাত্র ন্যায়সঙ্গত প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করবে। আর এই জোটই আরব লীগে সিরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
সিরিয়ার বাইরে বিরোধীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিলকে দেশটির বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সাথে একটি সমঝোতায় আসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র অনেকদিন যাবত চাপ দিয়ে আসছিল।
“বিরোধী পক্ষের যা যা করার প্রয়োজন ছিল, তা তারা করেছে। এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করা।”
আব্দুল্লাবাসেত সেইডা
সংস্থাটির প্রধান জর্জ সাব্রা নতুন গঠিত এ জোটের সকল সদস্যকে একটি সম্মিলিত লক্ষ্য পূরণে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি এই জোটে বিরোধীপক্ষের যারা যোগ দিয়েছেন, তারা সবাই আসলেই একসাথে তাদের কাজ চালিয়ে যাবেন। কারণ সিরিয়ায় যে রক্তক্ষরণ চলছে তার জন্য এই ঐক্যের প্রয়োজন।
সিরিয়ার ন্যাশনাল কাউন্সিলের সাবেক প্রধান
ধারণা করা হচ্ছে নবগঠিত এ জোটটি ছোট আকারের একটি অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি একটি সামরিক কাউন্সিলও গঠন করবে।
পশ্চিমা দেশ এবং মিত্রদের দীর্ঘদিনের চাপের পর সিরিয়ার বিরোধী পক্ষ ঐক্যবদ্ধভাবে একটি জোট গঠন করলো।বিবিসি