আজ || বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  গোপালপুরে ‘কল্যাণের শপথ সেবা সংঘ’র কমিটি গঠন       গোপালপুরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন       গোপালপুরে মাদরাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে গণশুনানি       ভূঞাপুর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি       গোপালপুরে ১৮ বছর পর স্বনামে ফিরলো আব্দুস সালাম পিন্টু কলেজ       গোপালপুরে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত       ক্ষেতের আইল দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে ভোগান্তিতে শিশু শিক্ষার্থীরা       গোপালপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন       গোপালপুরে জামায়াতে ইসলামীর পৌর শাখার কর্মী সম্মেলন       ইমনরা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে: টাঙ্গাইল জেলা জামায়াত আমীর     
 


এমকে আনোয়ারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে ট্রাইব্যুনাল

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক বিষয়ে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ারের দেয়া বক্তৃতার বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ৭ দিনের মধ্যে এমকে আনোয়ারের দেয়া বক্তৃতার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। তার পক্ষে আইনজীবীর মাধ্যমে এই ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃতে ট্রাইব্যুনাল ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে এই আদেশ দেয়। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি তার আদালত অবমাননার বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ারের ট্রাইব্যুনালের বিচারিক বিষয়ে বক্তৃতা দেয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন করেন প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত। আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের মামলায় রায় দেয়ার আগের দিন গত ২০ জানুয়ারি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্ম-বার্ষিকীর আলোচনা সভায় এমকে আনোয়ার বলেন যে ‘সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে ১টি রাজনৈতিক প্রহসনের বিচার শুরু করেছে।’ পর দিন তার এই বক্তব্য বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। গত বুধবার প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত বিএনপি নেতা স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ারের এ বক্তৃতা সংক্রান্ত বিভিন্ন পত্রিকার কাটিং ট্রাইব্যুনালের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মৌখিকভাবে এ আবেদন জানান। পরে ট্রাইব্যুনাল লিখিত আবেদন করতে বলেন।

ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে রানা দাশ গুপ্ত গতকাল বলেন, বিএনপি নেতা এমকে আনোয়ার সম্প্রতি এক সভায় ট্রাইব্যুনালের বিচারকে ‘প্রহসনের বিচার’ বলে উল্লেখ করে বলেছেন যে, ‘বিচারের নামে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে প্রহসনের বিচার করা হচ্ছে।’ প্রসিকিউটর বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের নজরে এনে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানিয়ে বলেন, এমকে আনোয়ার জেনে-শুনে ট্রাইব্যুনালের ভাবমূর্তি ক্ষুণ� করতে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই এ কথা বলেছেন। তার এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন-১৯৭৩ এর ১১ (৪) অনুযায়ী অপরাধ। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে ট্রাইব্যুনাল বলেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে সত্য, তবে বিচারিক কার্যক্রম কিভাবে পরিচালনা করা হবে তা আমরাই সিদ্ধান্ত নেব। আমরা আশা করবো দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এ ধরনের মন্তব্য করবেন না। কথা বলার সময় তারা আরো দায়িত্বশীল হবেন। ট্রাইব্যুনাল আরো বলেন, ট্রাইব্যুনাল নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয়। এ ব্যাপারে সকলেই সতর্ক থাকতে হবে।

রানা দাস গুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাইব্যুনাল এমকে আনোয়ারের দেয়া বক্তৃতার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে। দুঃখ প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনাল বলেন যে, তিনি একজন সংসদ সদস্য এবং বিএনপির দায়িত্বশীল নেতা। তার কাছ থেকে এমন বক্তব্য আশা করিনি। এমন মন্তব্য ট্রাইব্যুনালের জন্য অবমাননাকর। এদিকে আগামী ৩০ জানুয়ারি জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ১৩তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছে ট্রাইব্যুনাল।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!